সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদিম বর্বরতার কথা এখনও আমাদের কানে আসে। সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হয়। এবার অসমে পুত্রবধূকে জোর করে অ্যাসিড খাইয়ে হত্যা করল তাঁর শাশুড়ি। গৃহহিংসার এই চরম নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে অসমে। ‘অপরাধ’ ছিল কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়া। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত শাশুড়িকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ৪৬ বছরের গোপালজান বিবি অসমের(Assam) ভৈরবনগরের বাসিন্দা। তার পুত্রবধু সুমনা বেগমের বয়স মাত্র ২১। গোপালজান বরাবরই চাইতেন তার নাতি হোক। কিন্তু কিছুদিন আগে সুমনা এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। যা মেনে নিতে পারেনি তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোক। শুরু হয় অত্যাচার। সেই অত্যাচার চরমে পৌঁছায় মঙ্গলবার। সেদিন অ্যাসিডের সঙ্গে ভাত মিশিয়ে তাঁকে জোর করে খাওয়ানো হয়। তারপরেই শুরু হয় রক্তবমি। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
[আরও পড়ুন: রাস্তা মেরামতির দাবিতে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের, পরিস্থিতি সামলাতে ওসির ‘দাদাগিরি’!]
মৃতের কাকা জালিল আলি এ বিষয়ে থানায় এফআইআর দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মৃতের শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে। রাতাবাড়ি থানার ওসি উত্তম অধিকারী বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ঘটনার তদন্তে নেমেছি। ১২ জুলাই মৃতার শাশুড়িকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এছাড়াও মৃতার স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির আরও কয়েকজন সদস্যের নামও খুনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বলেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে।”
জালিল স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন মৃতার স্বামী শাকিল আহমেদের কথাও। তাঁর বিশ্বাস মৃতার শাশুড়ি গোপালজান, স্বামী শাকিল-সহ খুনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তাঁর শ্বশুরবাড়ির আরও কয়েকজন সদস্য। জালিল আরও বলেন, “সুমনার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বরাবর চাইতেন পুত্র সন্তান হোক। কিন্তু কয়েকদিন আগে সুমনা কন্যা সন্তান প্রসব করে। এর ফলেই অত্যাচার করা শুরু হয় ওর উপরে। জোর করে অ্যাসিড খাওয়ানো হয়। রক্তবমি করতে করতে মারা যায় সুমনা।” পুলিশ কর্তৃপক্ষ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ এবং ৩৪ নম্বর ধারা জারি করেছে অভিযুক্ত শাশুড়ি গোপালজান বিবি ও তার দুই সন্তানের বিরুদ্ধে। ময়নাতদন্তের জন্য নিথর দেহ পাঠানো হয়েছে করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে।