বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: নভেম্বরের প্রথম দিন থেকেই শুরু হচ্ছে বিধানসভার অধিবেশন (Assembly Session)। ১৮ তারিখ পর্যন্ত অধিবেশন চলবে বলে জানিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ওইদিনই অধিবেশন শুরুর আগে হবে বিধানসভার কার্যকরী কমিটি ও সর্বদলীয় বৈঠক।
বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের পর ফের নভেম্বরে বসছে অধিবেশন। যদিও মাঝে কালীপুজো, ভাইফোঁটা ও ছটের উৎসব থাকায় সরকারি ছুটি রয়েছে। তাই সর্বসাকুল্যে সাত থেকে আট দিন অধিবেশন হওয়ার সম্ভাবনা বলে বিধানসভা সূত্রে খবর। সোমবার অধিবেশন নিয়ে বৈঠক করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: টিকিটবিহীন যাত্রীদের ট্রেনে তুলে হাতেনাতে ধরা পড়লেন রাজধানীর হেড TTE, কড়া পদক্ষেপ রেলের]
পরে পরিষদীয় মন্ত্রী জানান, কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অধিবেশনে আলোচনা হবে। বেশ কয়েকটি বিল আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন। সেইসঙ্গে এবছর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী। বিধানসভায় বিদ্যাসাগরের উপর বিশেষ আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।
তবে অধিবেশন শুরুর পর দিনই রাজ্যের চারটি উপনির্বাচনের ভোটগণনা। চারটি আসনেই তৃণমূলের প্রার্থীরা জয়ী হবে বলেই মনে করছে শাসকদল। তার আগে মুখ্যমন্ত্রীও ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে এসেছেন। বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার জন্য তৃণমূল পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে বিধানসভায় সংবর্ধনা দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। যদিও হঠাৎ করে ডাকা অধিবেশন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। বিরোধীদের প্রশ্ন, কী এমন ঘটনা ঘটল যে তড়িঘড়ি অধিবেশন ডাকতে হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: আদালতের হস্তক্ষেপেও জট কাটল না, অনশন তুলতে নারাজ আর জি কর হাসপাতালের ইন্টার্নরা]
এবারের অধিবেশনেও করোনার নিয়মকানুন মানা হবে কি না তা নিয়েও কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা জারি করা হয়নি এদিন। ইতিপূর্বে বাজেট অধিবেশনেও কোভিডবিধি মেনেই চলেছিল অধিবেশন।