সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলায় নির্বাচন পর্ব শেষ হতে না হতেই ফের ভুয়ো আর্থিক সংস্থার তদন্তে সক্রিয় হয়ে উঠল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED)। ফের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রোজভ্যালি সংস্থার প্রায় ৩০৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এর মধ্যে স্থাবর-অস্থাবর, দু’ধরনের সম্পত্তিই রয়েছে। ইডির তরফে টুইট করে এই খবর প্রকাশ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (PMLA) বা আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনের নির্দিষ্ট ধারা মেনে রোজভ্যালির এসব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জমি, বাড়ি, গাড়ি।
বছরের গোড়া থেকেই ভুয়ো আর্থিক সংস্থা নিয়ে তদন্তে গতি এনেছে ইডি এবং সিবিআই। সেইমতো কাজও শুরু হয়েছে। জানুয়ারির প্রথমার্ধেই রোজভ্যালি সংস্থার কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডুকে (Subhra Kundu) গ্রেপ্তার করে সিবিআই। শুভ্রা কুণ্ডুর বিরুদ্ধে অভিযোগ, রোজভ্যালির বিপুল অঙ্কের টাকা পাচার করেছেন তিনি। ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট-সহ বিভিন্ন জায়গায় টাকা সরিয়ে দিয়েছেন বলেই দাবি। বিদেশে ওই টাকা পাঠিয়েছেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হয়েছে। রোজভ্যালির গয়নার দোকান ‘অদ্রিজা’র ডিরেক্টর ছিলেন শুভ্রা। সেখান থেকেও কোটি কোটি টাকার গয়না তিনি অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ। শুভ্রা কুণ্ডু এখনও সিবিআই হেফাজতে।
[আরও পডুন: ‘এক্সিট না একজ্যাক্ট পোল, দু’শোর কাছাকাছি আসন পাবই’, চ্যালেঞ্জ দিলীপ ঘোষের]
এই আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ৯ জনকে গ্রেপ্তারির পর শুরু হয় সাজা ঘোষণার পালা শুরু হয়। ভুয়ো সংস্থার আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে বেশ কয়েকটি মামলা চলছিল রোজভ্যালির। শেয়ার ডিবেঞ্চার সংক্রান্ত একটি মামলায় সংস্থার কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু-সহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর চার্জ গঠনের সময়ে অন্যতম অভিযুক্ত সংস্থার আধিকারিক অরুণ মুখোপাধ্যায় নিজেই কেলেঙ্কারির দায় নিজের কাঁধে নেন। ফলে তিনি একাই দোষী সাব্যস্ত হন। ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে ৭ বছরের জন্য কারাবাসের সাজা দেয় কলকাতা নগর দায়রা আদালত। গ্রেপ্তার হওয়ার পর ইতিমধ্যে অরুণ মুখোপাধ্যায়ের ৪ বছর কারাবাসের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ফলে আর তিন বছর জেলে কাটাতে হবে তাঁকে। এর পাশাপাশি ইডি এবং সিবিআই যৌথ উদ্যোগে রোজভ্যালির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করে। তার মধ্যে শুক্রবার বাজেয়াপ্ত করা হয় ৩০৪ কোটি টাকার সম্পত্তি।