সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির পুরনাবৃত্তি ওড়িশার খুরদা জেলায়। বিজেডি দলের সাসপেন্ডেড বিধায়কের গাড়ির ধাক্কায় পিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হলেন অন্তত ২৪ জন। যাঁর মধ্যে রয়েছেন বেশ কয়েকজন মহিলাও। ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। অভিযুক্তকে মারধরের পাশাপাশি এবং তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও জানা গিয়েছে। ফলে রীতিমতো রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সকালে চিলিকা লেকের কাছে বানপুর পঞ্চায়েত সমিতির বাইরে একটি মিছিল বের করেছিলেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। চেয়ারপার্সন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অন্তত দু’শো কর্মী সেই মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। অভিযোগ, ঠিক সেই সময়ই চিলিকা বিধানসভা থেকে নির্বাচিত এবং গত বছর ‘নির্বাসিত’ বিজু জনতা দলের (BJD) বিধায়ক প্রশান্ত জগদেবের গাড়ি সজোরে ঢুকে পড়ে মিছিলের ভিতর। গাড়ির ধাক্কায় একের পর এক বিজেপি কর্মী আহত হতে থাকেন।
[আরও পড়ুন: ৪ রাজ্যে জিতেই চাকুরিজীবীদের সঞ্চয়ে কোপ! ৪৪ বছর পর সর্বনিম্ন ইপিএফের সুদের হার]
ইন্সপেক্টর জেনারেল নরসিংহ ভোল জানাচ্ছেন, চালকের আসনে ছিলেন প্রশান্ত জগদেবই। তিনিই পঞ্চায়েত অফিসের দিকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসার সময় একের পর এক বিজেপি কর্মীকে ধাক্কা দেন। অন্তত ২৪ জন আহত হয়েছেন। কর্মীদের পাশাপাশি গুরুতর চোট পান বানপুর থানার পাঁচ পুলিশ ইন্সপেক্টরও। আর এতেই চূড়ান্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। অভিযুক্তর গাড়ি থামিয়ে তাঁকে বের করে এনে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। ভাঙচুর করা হয় তাঁর গাড়িটিও। এমনকী তাতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশের দাবি, তাঁকে গাড়ি থামাতে বললেও তা কানে তোলেননি প্রশান্ত জগদেব। এক বৃদ্ধ ও বৃদ্ধার উপর দিয়েই গাড়ি চালিয়ে দেন তিনি। হাসপাতালেও ভরতি করতে হয়েছে ঘটনায় আহত একাধিকজনকে। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন ওই সাসপেন্ডেড বিধায়ক। ঘটনায় গুরুতর আহত হন তিনিও। পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে তাঁকে ভুবনেশ্বরের হাসপাতালে ভরতি করা হয়। উল্লেখ্য, গতবছর এক দলিত বিজেপি নেতাকে মারধরের অভিযোগেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল তাঁকে।
গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপি নেতা পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন। অভিযুক্ত বিজেডি নেতাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারির দাবিও তুলেছেন তিনি।