বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: বেড়াতে গিয়ে বিপত্তি! তুষারপাতের মজা নিতে গিয়ে প্রাণ গেল বেশ কয়েকজন পর্যটকের। সিকিমের ছাঙ্গু রোডে ১৭ মাইলে তুষার ঝড়ে বিপাকে অন্তত ৩৫০ পর্যটক। আটকে পড়েছে ৮০টি গাড়ি। মঙ্গলবার বরফে তলিয়ে অন্তত ৭ জনের মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। তবে খারাপ আবহাওয়া ও সন্ধে নেমে যাওয়ায় উদ্ধারকার্য বাধা পাচ্ছে।
সোমবার রাত থেকে দফায়-দফায় তুষারপাত চলছে পূর্ব সিকিমের নাথুলা, বাবা মন্দির, ছাঙ্গু এলাকায়। ফলে ১৫ মাইলের পর আর পর্যটকদের যেতে দেওয়া হচ্ছিল না। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, তুষারপাতের খবর পেয়ে এদিন সকালে পর্যটক দল ছাঙ্গুর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তাতেই বিপদ বাঁধে। গ্যাংটকের পুলিশ সুপার তেনজিং লোডেন লেপচা জানান, আবহাওয়া খারাপ থাকায় পর্যটকদের ১৩ মাইল পর্যন্ত যাওয়ার পার্মিট দেওয়া হয়েছিল কিন্তু ওরা জোর করে ১৫ মাইলের দিকে চলে যায়। সেখানেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
[আরও পড়ুন: ট্রেনে চড়েই শিলিগুড়িতে অরিজিৎ, মাঝরাতে স্টেশনে ঘিরে ধরলেন ভক্তরা, ভিডিও ভাইরাল]
জানা গিয়েছে, পর্যটকরা তুষারপাত দেখার নেশায় মেতে যখন ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক তখনই তুষার ঝড় আছড়ে পড়ে। সেই সঙ্গে বরফের ধস নামতে শুরু করে। ওই পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পর্যটক বোঝাই একটি বাস খাদে উলটে পড়ে। অসমর্থিত সূত্রে ৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তাঁদের মধ্যে শিশুও আছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই বাংলার বাসিন্দা বলে খবর।
ঘটনার খবর মিলতে সিকিম পুলিশ, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) এবং স্বেচ্ছাসেবকদের দল উদ্ধার অভিযানে নামে। ঘটনাস্থল থেকে মারাত্মক জখম অবস্থায় অন্তত সাতজনকে উদ্ধার করে গ্যাংটকের এসটিএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সুইফট রেসকিউ অপারেশনে নেমেছে বর্ডার রোড অর্গানাইজেশন। বরফে ঢাকা গভীর উপত্যকা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২২ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় দেড় ঘন্টা বরফের নিচে চাপা পড়ে ছিলেন এক মহিলা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে এসটিএনএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলছে। ড্রোজার নামিয়ে বরফ পরিষ্কার করে আটকে পড়া সাড়ে তিনশো পর্যটক এবং ৮০টি ছোট গাড়ি উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।