সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চার মাস পেরিয়ে গিয়েছে হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধের। কিন্তু লড়াই থামার নাম নেই। উত্তর গাজা গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর দক্ষিণ গাজায় তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে ইজরায়েলি ফৌজ। দখলে নিয়ে নেওয়া হয়েছে এই মুহূর্তে গাজার সর্ববৃহৎ কার্যকরী হাসপাতাল নাসেরকে। এবার সেখানেই ইহুদি দেশটির সেনার অভিযানের কারণে অন্তত ৫জন রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল।
আল জাজিরা সূত্রে খবর, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইজরায়েলি বাহিনীর কবজায় রয়েছে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের নাসের হাসপাতাল। ভেঙে পড়েছে সেখানকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে গোটা হাসপাতাল। অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন চিকিৎসাধীন পাঁচ রোগী। এমনটাই অভিযোগ গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘এঁদের মৃত্যুর জন্য ইজরায়েলের সেনাই দায়ী। হাসপাতালটি এখন সম্পূর্ণ তাদের দখলে চলে গিয়েছে। দুজন মহিলা অমানবিক পরিস্থিতিতে শিশুর জন্ম দিয়েছেন। তার পর সদ্যজাত শিশুদের নিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস ছাড়াই প্রসুতি বিভাগ ছাড়তে বাধ্য করা হয়।”
[আরও পড়ুন: ‘নাভালনির মৃত্যুর জন্য পুতিনই দায়ী’, রুশ প্রেসিডেন্টের ‘বর্বরতা’কে একহাত বাইডেনের]
অন্যদিকে, ইজরায়েলি সেনা জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছিল নাসের হাসপাতালে হামাস জঙ্গিরা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে। তার পরই জেহাদিদের খুঁজতে হাসপাতালে অভিযান শুরু করা হয়। কুড়িজন জঙ্গিকে প্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে কয়েকজন গত ৭ অক্টোবরের হামলায় জড়িত ছিল। মনে করা হচ্ছে, এই হাসপাতালেই পণবন্দিদের দেহ লুকিয়ে রাখা হয়েছে। যদিও হাস্পাতালে ঘাঁটি বানানো নিয়ে ইজরায়েলের সমস্ত দাবি উড়িয়ে দিয়েছে হামাস।
বলে রাখা ভালো, লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকে জঙ্গিদের নিকেশ করতে গাজার হাসপাতালগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। তাদের অভিযোগ সেখানে রয়েছে জেহাদিদের কমান্ড সেন্টার ও অস্ত্রভাণ্ডার। আল শিফা, র্যানটিসির মতো বড় বড় হাসপাতালে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে ইজরায়েল। সেখানে হামাসের ডেরা থাকার প্রমাণ পেশ করেছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)।