স্টাফ রিপোর্টার: এবার রেফারিং নিয়ে সমালোচনার সুর শোনা গেল আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের মুখেও। এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohunbagan) কোচ মনে করছেন, শুক্রবার ম্যাচে যে পেনাল্টি দেওয়া হয়েছে তা নাকি আদৌ ছিল না। ওই ম্যাচে নিখিল পুজারিকে বক্সের মধ্যে পিছন থেকে মনবীর ঠেলে দেওয়ায় রেফারি সবুজ-মেরুন শিবিরের বিরুদ্ধে পেনাল্টির নির্দেশ দেন। তখন নিজাম শহরের দল পিছিয়ে ছিল ১-০ গোলে। সেই পেনাল্টি থেকে গোল দিয়ে সমতায় ফেরে হায়দরাবাদ (Hyderabad FC)। ফলে পরপর দু’টি ম্যাচ থেকে পাঁচ পয়েন্ট নষ্ট হয় রয় কৃষ্ণ অ্যান্ড কোংয়ের। আর তাই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন হাবাসও।
শুক্রবার রেফারিং নিয়ে ফেডারেশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal)। লাল-হলুদ শিবিরের বক্তব্য পরিষ্কার, পরপর দু’টো ম্যাচে তারা বিশ্রী রেফারিংয়ের শিকার হয়েছে। এবার যেন রেফারি সতর্ক হয়ে খেলায়। হাবাসও মোটামুটি রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন। ফলে কলকাতার (Kolkata) দুই প্রধান বুঝিয়ে দিল, ISL ভারতবর্ষের () এক নম্বর লিগ হতে পারে। কিন্তু রেফারিং মান মোটেই বলার মতো নয়।
[আরও পড়ুন: বাড়ি ফিরেই ছেলেকে কোলে নিয়ে খাওয়ালেন পাণ্ডিয়া, ছবি দেখে আপ্লুত নেটিজেনরা]
শুক্রবার ম্যাচের পর সরাসরি রেফারির দিকে আঙুল তুলে হাবাস বলেন, “আমাদের ফরোয়ার্ড লাইন অন্যান্য ম্যাচের তুলনায় খুবই ভাল খেলেছে। বেশ কয়েকবার আমরা আক্রমণ করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য সেই সময় গোল আসেনি। তাই এটুকু বলতে পারি, ফরোয়ার্ডদের খেলা দেখে আমি মোটেই অখুশি নই।” এবার পেনাল্টি নিয়ে অভিমত প্রকাশ করতে গিয়ে স্প্যানিশ কোচ জানান, “পেনাল্টি ছিল না। মনবীর মোটেই পুজারিকে ইচ্ছাকৃত ঠেলেনি। সুতরাং যে পেনাল্টি আমাদের বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে তা সমর্থন করা যায় না।” তবে এটিকে মোহনবাগান শিবির ফেডারেশনের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেনি।
এদিকে, এসসি ইস্টবেঙ্গলের সপ্তম বিদেশি আগামী সপ্তাহে আসছে। তাঁর নাম ব্রাইট এনোবাখারে। ২২ বছরের নাইজেরিয়ান ব্রাইট ফরোয়ার্ডে খেলেন। নাইজেরিয়া অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে খেলেছেন। যদিও তাঁর নাইজেরিয়া ও গ্রেট ব্রিটেনের নাগরিকত্ব রয়েছে। উলভস, কোভেন্ট্রির মতো দলের হয়ে কয়েকবছর আগেও খেলেছিলেন। এসসি ইস্টবেঙ্গলে আসছেন এইকে এথেন্স থেকে সদ্য রিলিজ নিয়ে।
[আরও পড়ুন: পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দের জীবনী এবার ফুটে উঠবে বড়পর্দায়]
আসলে গোল খরা লাল-হলুদ শিবিরকে ভাবিয়ে তুলেছে। চারটে ম্যাচ হয়ে গেলেও একটাও গোল হয়নি। স্বভাবতই কোচ রবি ফাউলার এই মুহূর্তে দিশেহারা। বুঝে উঠতে পারছেন না গোল খরা কাটাবেন কী করে। বড় ভরসা করেছিলেন পিলকিংটন, মাঘোমাদের উপর। দেখা যাচ্ছে এঁরা কেউই তেমন প্রভাব ফেলতে পারছেন না। ফলে ব্রাইট এনোবাখারেকে নিয়ে এসে সেই অভাব পুরণ করতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। মুশকিল হল, কোয়ারেন্টাইন কাটিয়ে তঁার মাঠে নামা ডিসেম্বর মাসে হচ্ছে না। তাছাড়া জানুয়ারিতে সেকেন্ড উইন্ডো খুললে তবেই তঁাকে সই করানো যাবে। ফলে ব্রাইট যখন মাঠে নামবেন তখন প্রথম পর্বের খেলা প্রায় শেষ। এসসি ইস্টবেঙ্গলের কাছে এই বিষয়টা যথেষ্ট মাথাব্যাথার কারণ। প্রায় চার কোটি টাকা দিয়ে নিয়ে আসা ব্রাইটকে কাজে লাগাতে মাঝে বহু ম্যাচ পেরিয়ে যাবে।