সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার সকালে সংসদ চত্বরে বেনজির হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস এবং বিজেপি সাংসদরা। অভিযোগ, দুজন সাংসদ জখম হয়েছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর ধাক্কায়। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, রাহুল কি গ্রেপ্তার হবেন? দোষী প্রমাণিত হলে কত বছরের সাজা হতে পারে তাঁর?
এক্ষেত্রে বলা যায়, রাহুল গান্ধীকে গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রয়োজন। যদি ধারণা তৈরি হয় যে এতে শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে কিংবা দাঙ্গা হতে পারে, সেক্ষেত্রে রাহুলকে গ্রেপ্তার করতে পারে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৮৯(৫) ধারার অধীনে মামলা দায়ের হয়েছে রাহুলের বিরুদ্ধে। সাধারণ চোটআঘাতের ক্ষেত্রে ১১৫(২) এবং গুরুতর আঘাতের ক্ষেত্রে ১১৭(২) ধারা আরোপ করা হয়েছে। উভয়ক্ষেত্রেই দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ৭ বছরের সাজা হতে পারে। বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছেন, এছাড়াও ১০৯, ১২৫, ১৩১ ও ১০৯ ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০৯ ধারাটি হল খুনের চেষ্টার অভিযোগ। এই ধারায় সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে ১০ বছরের জেল।
এদিকে এদিন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে একটি চিঠি লিখেছেন কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছেন, রাহুল গান্ধীকে লোকসভায় ঢুকতে বাধা দেন বিজেপি সাংসদরা। তাঁকেও ধাক্কা দেওয়া হয়। এর ফলে তিনি ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে গেলে তাঁর চোটগ্রস্ত হাঁটুতে চোট পান। রাহুল গান্ধীর নিজের দাবি, “আমি সংসদে ঢুকতে গেলে বিজেপি সাংসদরা ঘিরে ধরেন। আমাকে ধাক্কা দেওয়া হয়। ধাক্কাধাক্কি বলতে এটুকুই হয়েছে।”
পরে সংবাদিক সম্মেলনে রাহুল বলেন, ''শুরু থেকেই ওদের লক্ষ্য ছিল আদানি ইস্যু তুলতে দেবে না। প্রথম কয়েকদিন অধিবেশন চলতে দিল না। ওদের মানসিকতা গণতন্ত্র, সংবিধান, আম্বেদকর বিরোধী... তবে আজ সব কিছু ছাপিয়ে গিয়েছে। লাঠি হাতে আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের সামনে চলে এল। আসল লক্ষ্য এখনও একই। আদানিকে বাঁচানো।''