সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনটে কারণ নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তায় রয়েছেন এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) কোচ জুয়ান ফেরান্দো (Juan Ferrando)। কি চিন্তা? এক, গত ম্যাচে ওড়িশার দুরন্ত জয়। দুই, কোভিডের কারণে গত তিনটে ম্যাচ না খেলা। তিন, হুগো বুমোসকে না পাওয়া। অথচ ওড়িশার (Odisha FC) সঙ্গে খেলার পরের ম্যাচ হল ডার্বি। সেই ম্যাচ নিয়েও ভাবতে হচ্ছে ফেরান্দোকে। তাই পাহাড় প্রমাণ চাপ নিয়ে আজ খেলতে নামছে এটিকে মোহনবাগান।
এমনিতেই কোভিড নিয়ে চিন্তা কমছে না টিম ম্যানেজমেন্টের। ফুটবলারদের কোভিডের কারণে তিনটে ম্যাচ বাতিল হয়েছে। তাই ফেরান্দো বলেই ফেললেন, “কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে অনেকে। কিন্তু কোভিড আক্রমণ করা মানেই তো দুর্বল হয়ে যাওয়া। তার উপর মানসিক সমস্যাও দেখা দেয়। ঘরে কাটানো, খাওয়া-ঘুম অনিয়মিত হওয়া, মেজাজ ঠিক থাকে না, শরীরে পরিবর্তন আসে, সব মিলিয়ে এসব দূরে সরিয়ে মাঠে ফেরা খুব কঠিন। তাই আক্রান্ত হওয়া ফুটবলারদের নিয়ে সতি্য চিন্তায় রয়েছি।”
[আরও পড়ুন: আইপিএলে নতুন দলের অধিনায়কত্ব পেলেন হার্দিক-রাহুল, নিলামে নাম হাজারের বেশি তারকার]
জানেন, ওড়িশা এফসির শক্তি ঠিক কোথায়। বিশেষ করে ফেরান্দোকে ভাবাচ্ছে ওড়িশার ডিফেন্স। তাছাড়া জেরি, আরিদাই সুয়ারেজ, জোনাথাসদের মতো ফরোয়ার্ডদের নিয়েও তিনি কম চিন্তিত নন। “এই অবস্থায় প্রতিটি দলের কাছেই ম্যাচগুলো কঠিন। এটুকু জানি, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। ওড়িশা গতম্যাচে বেশ ভাল খেলেছে। তাই আত্মবিশ্বাসী থাকবে।” বললেন ফেরান্দো।
তিনটে ম্যাচ না খেলায় দলের মধ্যে আলাদা একটা তরতাজা মনোভাব থাকা স্বাভাবিক। ফেরান্দো স্বীকার করছেন। তবে অন্যান্য দলের মতো তাঁর ছেলেরাও যে ক্লান্ত তাও বলছেন তিনি। পরের ম্যাচ ডার্বি ঠিকই। তবে স্প্যানিশ কোচের এখন পাখির চোখ ওড়িশা। তাই তিনি জানিয়ে দিলেন, “আমার কোচিং জীবনে প্রথম ডার্বি। তাই বলে ওই ম্যাচ নিয়ে এখন ভাবছি না। শুধু ভাবছি রবিবারের ওড়িশাকে নিয়ে। তবে খারাপ লাগছে, ডার্বির মজাটা পাব না ভেবে। কলকাতায় হলে সেই উত্তাপ অনুভব করতাম।”