সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: লাগাতার প্রবল বৃষ্টির বিপদ ছিলই। তার দোসর হল মেঘভাঙা বৃষ্টি। বিপর্যস্ত সিকিমে (Sikkim) লাচেন উপত্যকায় লোনাক লেক উপচে ভেসে গেল সেনা জওয়ানদের একটি গাড়ি। নিখোঁজ ২৩ জন জওয়ান (Army Personnel)। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। ভেসে গিয়েছে ৪১ টি গাড়িও। এই খবর নিশ্চিত করেছেন ইস্টার্ন কমান্ডের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক হিমাংশু তিওয়ারি। জওয়ানদের নিখোঁজের খবরে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। রাজ্য সরকারের তরফে সমস্ত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
তিস্তা নদীর (Teesta) জল অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকায় উত্তর ও পূর্ব সিকিমে জারি লাল সতর্কতা। প্রায় একই পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গে। মালবাজারের মহকুমার গজলডোবায় তিস্তার একাধিক লকগেট খুলে দেওয়ায় হু হু করে জল ঢুকছে। ডুবেছে বহু রাস্তা। তিস্তার সংরক্ষিত এলাকায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা।
সিকিমের মঙ্গন জেলার এসপি (SP) সোনম দেচু জানিয়েছেন, ”তিস্তায় আচমকা জলস্তর বৃদ্ধি হয়েছে। বিপজ্জনক পরিস্থিতি। তিস্তার আশেপাশের এলাকা খালি করতে হবে। আমরা সব কটি থানাকে সতর্ক করেছি। জানতে পেরেছে, সিংতামের কাছে সেনাদের একটি গাড়ি দাঁড়ানো ছিল। জলের তোড়ে তা ভেসে গিয়েছে। ২৩ জন জওয়ানকে পাওয়া যাচ্ছে না। খোঁজ চলছে।” সিকিমের চুংথাং (Chungthang) ও মঙ্গনের মধ্যে যোগাযোগকারী সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় গোটা এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন চুংথাং।
[আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছাড়াও বাড়তি টাকা দাবি, দিতে না পারায় মাঝপথে অস্ত্রোপচার থামালেন চিকিৎসক!]
এদিকে, উত্তরবঙ্গের একাধিক এলাকার পরিস্থিতিও ভয়াবহ। সূত্রের খবর, গজলডোবার তিস্তা ব্যারেজ থেকে প্রায় ৭০০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, যা এই বছরে সর্বোচ্চ বলে মনে করা হচ্ছে। তিস্তার ডাউনস্ট্রিমে বসবাসকারী সাধারণ মানুষজনের উদ্দেশে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে৷ তাঁদের অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থাও চলছে। তিস্তায় অতিরিক্ত জলস্তর বৃদ্ধির জন্য গজলডোবায় জলের চাপ বেড়ে যায়। সেই কারণে বেশিরভাগ লকগেট খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। খোলা হয়েছে ৩৫ টির মধ্যে ৩২ টি লকগেটই। বেলা যত বাড়ছে, জলের পরিমাণও বাড়ছে গজলডোবার তিস্তা নদীতে।