shono
Advertisement

বিরোধিতা বা ভিন্নমত হল গণতন্ত্রের ‘সেফটি ভালভ’, বলছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি চন্দ্রচূড়

তাঁর এই মন্তব্যে অক্সিজেন পাচ্ছে বিরোধীরা। The post বিরোধিতা বা ভিন্নমত হল গণতন্ত্রের ‘সেফটি ভালভ’, বলছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি চন্দ্রচূড় appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 09:31 AM Feb 16, 2020Updated: 11:19 AM Feb 16, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA)’র বিরোধিতায় ধরনা করার অধিকার চেয়ে বম্বে হাইকোর্টে মামলা ঠুকেছিলেন মহারাষ্ট্রের এক ব্যক্তি। তার রায় দিতে গিয়ে প্রতিবাদের অধিকারকেই মান্যতা দেয় আদালত। পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, কোনও আইন বা সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মানে সংবিধান বা দেশ বিরোধিতা নয়। শনিবার বিকেলে একটি আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেই কথাই ফের মনে করিয়ে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তার পাশাপাশি অবশ্য সতর্ক করলেন আন্দোলনের রূপরেখা নিয়েও।

Advertisement

শনিবার ১৫ তম পি ডি দেশাই মেমোরিয়াল শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ভিন্নমত কীভাবে প্রকাশ করবেন, সেটাও জানতে হবে। না হলে রাষ্ট্র প্রতিহত করবে। লেকচার দিতে গিয়েই এই কথা বলেছেন। গণতান্ত্রিক দেশে যখন ভোটদানের মাধ্যমে যখন সরকার গড়া হয়, তখন সেই সরকারের উপর আস্থা হারানো বোকামি। গণতন্ত্রে ভিন্নমত ‘সেফটি ভালভ’এর কাজ করে। প্রশ্ন ও বিরোধিতা করার পথ বন্ধ করে দিলে রাজনৈতিক, আর্থিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বৃদ্ধির পথ বন্ধ হয়ে যায়। ভারত বহুত্ববাদের উপরে ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছিল। তাই এখানে জাতীয় ঐক্যের অর্থ হল, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বোধের মেলবন্ধন ও সংবিধানের আসল উদ্দেশ্যগুলির প্রতি বিশ্বস্ত থাকা। বাকস্বাধীনতাকে রক্ষা করাই রাষ্ট্রের কাজ হওয়া উচিত। আতঙ্ক ছড়িয়ে বা দমনপীড়নের মাধ্যমে এই অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হলে রাষ্ট্রে উচিত সেই চেষ্টার বিরোধিতা করা। মনে রাখতে হবে আমাদের সংবিধান রচয়িতারা হিন্দু বা মুসলিম ভারতের ভাবনাকে স্বীকার করেননি। কেবল প্রজাতান্ত্রিক ভারতের ভাবনাকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। তাই আলাদা আলাদাভাবে হিন্দু ভারত বা মুসলিম ভারত বলে কিছু নেই। এই ধরনের চিন্তা করাও বোকামি।

[আরও পড়ুন: মানহানি মামলার জের, রবিশংকরকে নোটিস পাঠাল আদালত ]

 

 সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধীদের দেশদ্রোহী তকমা দেওয়া চেষ্টা করছে কিছু মানুষ। তখন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের একজন বিচারপতির এহেন মন্তব্য অক্সিজেন দিচ্ছে বিরোধীদের! তবে এই প্রথম নয়, এর আগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়ে দেশের মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেছেন তিনি। যেমন ব্যক্তিগত গোপনীয়তার সংক্রান্ত রায়। ২০১৮ সালে এই অধিকারকে সংবিধানের মৌলিক অধিকার বলে মান্যতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ৯ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ। বিচারপতি চন্দ্রচূড় ছিলেন তার অন্যতম সদস্য। তিনি নিজের বাবার তৈরি করা রায়ের বিরুদ্ধে মত দেন। চন্দ্রচূড়ের বাবা ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের এক সময়ের প্রধান বিচারপতি ওয়াই ভি চন্দ্রচূড়। যিনি ৪২ বছর আগে এডিএম জব্বলপুর বনাম শিবকান্ত শুক্লা মামলায় গোপনীয়তার অধিকারকে সংবিধানের মৌলিক অধিকার বলে মান্যতা দিতে চাননি। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলনে হিংসার সময়ে সম্পত্তি ধ্বংসের মামলায় বেশ কয়েক জন অভিযুক্তের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মামলায় শীর্ষ আদালতের যে বেঞ্চ যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে নোটিস পাঠিয়েছে, বিচারপতি চন্দ্রচূড় তার সদস্য।

[আরও পড়ুন: বিরিয়ানি খাইয়ে আন্দোলন চলে না’, শাহিনবাগ নিয়ে কড়া জবাব অভিনেত্রী রত্না পাঠকের ]

The post বিরোধিতা বা ভিন্নমত হল গণতন্ত্রের ‘সেফটি ভালভ’, বলছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি চন্দ্রচূড় appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement