সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: মূল্যবৃদ্ধি, বর্ধিত জিএসটি (GST), ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির সক্রিয়তার মতো ইস্যু তুলে আজ দিল্লির রাজপথে শক্তি প্রদর্শনে নামছে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ঘেরাও-সহ দেশজুড়ে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে হাত শিবিরের। তার ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) তীব্র আক্রমণ শানালেন রাহুল গান্ধী। প্রধানমন্ত্রীকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করে রাহুল বললেন, বিজেপি-আরএসএসের জমানায় ভারতীয় গণতন্ত্রের অকালমৃত্যু হচ্ছে।
এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপিকে (BJP) সরাসরি তোপ দেগে রাহুল বলেন,”আজ ভারতে গণতন্ত্র বলে কিছু বেঁচে নেই। আমাদের বলার অধিকার নেই। আমাদের বিক্ষোভ দেখানোর অধিকার নেই। আমাদের সংসদ থেকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। আমাদের দেশে গণতন্ত্র মৃত, স্বৈরাচার চলছে।” রাহুলের (Rahul Gandhi) অভিযোগ, এই সরকার মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, সামাজিক হিংসার মতো ইস্যু নিয়ে কথা বলতে দিতে চায় না। সরকার শুধু ৪-৫ জনের স্বার্থরক্ষার চেষ্টা করে চলেছে। ২-৩ জন বড় ব্যবসায়ীর কথা ভেবে ২ জন স্বৈরাচারী সরকার চালাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হতে পারে সংসদের বাদল অধিবেশন, প্রতিবাদে সরব তৃণমূল]
প্রাক্তন কংগ্রেস (Congress) সভাপতির বক্তব্য, বিজেপি আমার পরিবারকে আক্রমণ করছে, কারণ আমরা একটি নীতির জন্য লড়ছি, একটি আদর্শের জন্য লড়ছি। আজ থেকে নয়, বছরের পর বছর ধরে। আমার পরিবারের লোকেরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। যখন দেখি হিন্দু-মুসলিম একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ছে, দলিতদের মেরে ফেলা হচ্ছে, মহিলাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে, আমার কষ্ট হয়। লড়াই করি। এটা আমাদের দায়িত্ব, আমাদের আদর্শ। আর এই আদর্শে এই দেশের বহু মানুষ বিশ্বাস করে। রাহুল দাবি করেছেন, ইডি (ED) যতই জেরা করুক ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কিছুই পাবে না। আমি আরএসের (RSS) বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছি। যত রুখে দাঁড়াব, ওরা তত আমাকে আক্রমণ করবে। যারা যত ভয় পায়, তাঁরা তত চমকায়।
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক আটকাতে ব্যর্থ বঙ্গ বিজেপি, সুকান্তদের সময়ই দেননি মোদি]
এরপরই প্রধানমন্ত্রীকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেন রাহুল। বলে দেন, হিটলার যেমন জার্মানির সব স্বশাসিত সংস্থাকে কব্জা করে নিয়েছিল, মোদিও তাই করছেন। হিটলারও ভোটে জিতত, কারণ জার্মানির সব স্বশাসিত সংস্থা ওর দখলে ছিল। আমাকে গোটা সিস্টেম দিন, দেখিয়ে দেব কীভাবে ভোটে জিততে হয়।