সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলায় বনধ হবে না বলে আগেই নবান্ন থেকে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবার সরাসরি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বনধের বিরোধিতায় নামল রাজ্যের অর্থ দপ্তর৷ নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বামেদের ছ’ঘণ্টা বনধ রুখতে খোলা থাকবে রাজ্যের সমস্ত রাজ্য সরকারি দপ্তর৷ বনধের দিনে অফিসে হাজিরা না হলে কাটা যাবে বেতন৷ গরহাজিরার কারণে কাটা যাবে এক দিনের ছুটিও৷
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে লাগাতার সন্ত্রাস চালানো ও সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলে শুক্রবার ছ’ঘণ্টার বনধ ডেকেছে বামফ্রন্ট৷ বামেদের এই বনধ রুখতে এবারও নবান্ন থেকে কড়া নির্দেশ এসেছে৷ রাজ্যে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার৷ রাজ্যের সমস্ত জায়গায় পুলিশি নিরপত্তা আরও কড়া করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ প্রত্যেকটি কিয়স্কে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন রাখার কথাও বলা হয়েছে৷ শহরের একাধিক জায়গায় পুলিশ পিকেট বসানোর নির্দেশ পাঠানো হয়েছে৷ যাতে, বনধের দিনে ঝামেলা এড়ানো যায়৷ বাস, ট্রাম ডিপো, মেট্রো স্টেশন, ফেরিঘাটগুলির উপর পুলিশি নজরদারির মধ্যে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর৷ পঞ্চায়েত ভোটের উত্তাপে শহর অথবা রাজ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাস্তায় গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলেও জানা গিয়েছে৷ লালবাজারের কন্ট্রোল রুম থেকে দিনভর নজরদারি চালানো হবে বলেও কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে৷
গোলযোগের কোনও সম্ভাবনা দেখতে পেলেই ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া আছে পুলিশকে৷ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বনধের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বনধের সংস্কৃতি যে তিনি আজও সমর্থন করেন না, সেকথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেইজন্যই রাজ্যকে সচল রেখেই তিনি প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে চান৷ বুধবার সন্ধ্যায় নবান্ন থেকে ফেরার পথে মুখ্যমন্ত্রী বনধ নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন৷ সাফ জানিয়ে দেন, ‘‘রাজ্যে কোথায় কোনও বনধ হবে না৷ রাজ্যের ৩৪ বছর ধরে বনধ-অবরোধ ছাড়া আর কী করছে সিপিএম? ওদের লজ্জা নেই৷ সংগঠন নেই, কর্মী নেই৷ তারপরও বনধ ডাকছে৷ সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি একসঙ্গে বনধ ডেকেছে৷ শুনে রাখুন, ওই সব বনধ-টনধ হবে না৷’’
The post বনধে গরহাজির থাকলে কাটা যাবে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি ও বেতন appeared first on Sangbad Pratidin.