সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খানিকটা স্বস্তি পেতে পারেন মায়ানমারের (Myanmar) নেত্রী আং সান সু কি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কারাগার থেকে মুক্তি পেতে পারেন বন্দি নেত্রী। তার পরিবর্তে তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখতে চলেছে মায়ানমারের জুন্টা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই মোট ৩৩ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঝুলছে সু কির মাথায়। ২০২১ সালে মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই জেলে রয়েছেন নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া এই নেত্রী। তবে এবার হয়তো কারাবাস থেকে মুক্তি পেতে পারেন তিনি।
মায়ানমারের জেল আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহেই হয়তো জেল থেকে বাড়িতে ফিরতে পারেন সু কি। কারণ আগামী সপ্তাহেই মায়ানমারে একটি বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠান রয়েছে। সেই উপলক্ষেই বেশ কয়েকজন বন্দিকে দয়াবশত মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। সেই তালিকার মধ্যেই রয়েছে সু কির নামও। তবে কয়েকজন আধিকারিকের দাবি, ইতিমধ্যেই বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে দেশের নেত্রীকে। তবে দেশের আইনের চোখে এখনও সু কি’কে বন্দি হিসাবেই দেখা হবে।
[আরও পড়ুন: ‘খাদ্যসংকটে পড়বে বিশ্ব’, চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলুক ভারত, চায় আইএমএফ]
প্রসঙ্গত, দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগে মোট ৩৩ বছরের জন্য কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সু কিকে। আগেই ১২টি মামলায় সু কি-কে দোষী সাব্যস্ত করে ২৩ বছরের জেলের সাজা দেওয়া হয়েছিল। পরে বিভিন্ন মামলায় যোগ হয় আরও তিন বছরের সাজা। গত বছর ডিসেম্বরে দুর্নীতির অভিযোগে সেই তালিকায় যোগ হয় ৭ বছরের কারাদণ্ড। সব মিলিয়ে ৩৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সু কি।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই মায়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। পতন হয় নির্বাচিত সরকারের। তারপর থেকেই সেনার নির্দেশে বন্দি মায়ানমারের নেত্রী আং সান সু কি (Aung San Suu Kyi)। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়। আর্থিক দুর্নীতি, ভোটে কারচুপি এমনকী ভোটপ্রচারে করোনাবিধি ভাঙারও অভিযোগ রয়েছে নোবেলজয়ী এই নেত্রীর বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা প্রত্যেকটি অভিযোগেই তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।