সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জঙ্গি দমন অভিযানে গিয়ে নিজের দেশের ১০ নাগরিকদের খুন পাক সেনার। সরকারের তরফে বিবৃতি জারি করে এই তথ্য স্বীকার করে নিল পাকিস্তান সরকার। গত শনিবার এই অভিযান চালানোর পর সন্ত্রাসদমনে সাফল্য কুড়োনোর পর অবশেষে ভুল স্বীকার করল শাহবাজ সরকার।

জানা গিয়েছে, গত শনিবার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার পাহাড়ি অঞ্চল কাটলাংয়ে সেনা অভিযান চালিয়েছিল পাকিস্তানের সেনা বাহিনী। দাবি করা হয়, তাদের কাছে গোপন খবর ছিল, ওই এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে একাধিক জঙ্গি। সেইমতো অভিযান শুরু করে সেনা। দাবিও করা হয়, অভিযানে একাধিক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। যদিও পালটা নানা সূত্র থেকে দাবি করা হতে থাকে এই অভিযানে ওই অঞ্চলের সাধারণ নাগরিকদের হত্যা করা হয়েছে। দিনভর এই নিয়ে চাপানউতোরের পর সন্ধ্যার দিকে প্রশাসন মেনে নেয় নিজেদেরই নাগরিককে খুন করেছে তারা। দেশের মানুষকে হত্যা করার পর পাক সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সেনার গুলিতে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে সেই পরিবারগুলিকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে পাক সেনার সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি শেষ করেছে তেহরিক ই তালিবান। বর্তমানে এই সশস্ত্র সংগঠন পাকিস্তানের মাথাব্যাথার অন্যতম কারণ। শুধুমাত্র খাইবার প্রদেশেই লাগাতার হামলায় বহু পাক সেনাকে খতন করেছে এই সংগঠনের সদস্যরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালটা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। তবে জঙ্গিদমন করতে গিয়ে পাক সেনার হাতে খুন হচ্ছেন ওই অঞ্চলের সাধারণ নাগরিকরা।
স্থানীয়দের তরফে জানা গিয়েছে, ওই পাহাড়ি অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিদিন নিজেদের গবাধি পশুকে চরাতে নিয়ে যান। শনিবারও গিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সময়ই পাক সেনা হামলা চালায় তাঁদের উপর। এই হত্যাকাণ্ড চালানোর পর সেনার বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান সেখানকার নাগরিকরা। যদিও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও অভিযান চালানোর সময় নাগরিকদের নিরাপত্তাই আমাদের প্রথম প্রাধান্য। তবে কখনও কখনও অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়ে যায়।