সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্যান্য খেলার মতোই টেনিসেও চলতি বছরে থাবা বসিয়েছিল মারণ করোনা ভাইরাস (Corona Pandemic)। উইম্বলডন (Wimbledon) বাতিল হয়েছিল, পিছিয়ে গিয়েছিল ফরাসি ওপেন (French Open) ও যুক্তরাষ্ট্র ওপেন। তবে সংক্রমণ এখনও কমেনি। বরং বিশ্বের বহু দেশে তা আবারও তীব্র রূপ নিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পিছিয়ে গেল আগামী বছরের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনও। জানুয়ারি নয়, গ্র্যান্ডস্লামটি শুরু হবে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে। চলবে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রধান আয়োজক ক্রেইগ টিলি। অর্থাৎ ১০০ বছরেরও বেশি সময় পরে প্রথমবারের জন্য পিছিয়ে গেল ঐতিহ্যশালী টুর্নামেন্টটি।
চলতি বছরেও নির্দিষ্ট সময়ে আয়োজিত হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান ওপেন (Australian Open)। ডমিনিক থিয়েমকে হারিয়ে ১০৮তম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হন নোভাক জকোভিচ। এরপরই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে করোনা সংক্রমণ। যার প্রভাব পড়ে টেনিসেও। একাধিক প্রতিযোগিতা বাতিল হয়। অনেক টুর্নামেন্ট থেকে নাম তুলে নেন খেলোয়াড়রা। বর্তমানেও বিশ্বে সংক্রমণ কমার কোনও ইঙ্গিত নেই। খোদ অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে দেখা গিয়েছে সংক্রমণের নতুন ঢেউ। এই পরিস্থিতিতেও অবশ্য অস্ট্রেলিয়ান ওপেন আয়োজনে বদ্ধপরিকর আয়োজকরা।
[আরও পড়ুন: ‘অস্ট্রেলিয়াকে বড়দিনের গিফ্ট দিল ভারত’, বিশ্রী ফিল্ডিং নিয়ে কোহলিদের কটাক্ষ গাভাসকরের]
ক্রেইগ টিলি এই প্রসঙ্গে বলেন, ১০ থেকে ১৩ জানুয়ারি দোহা এবং দুবাইয়ে পুরুষ–মহিলাদের কোয়ালিফাইয়িং রাউন্ড খেলা হবে। ১৫ জানুয়ারি থেকে সমস্ত খেলোয়াড়কে অস্ট্রেলিয়া পৌঁছে দু’সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইন কাটাতে হবে। তারপর ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে মেলবোর্নে শুরু হবে টুর্নামেন্টটি। এই সময় হোটেলবন্দি থাকলেও খেলোয়াড়রা অনুশীলনের জন্য আলাদা আলাদা সময় পাবেন। টিলির কথায়, ‘‘এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন অন্যান্যবারের তুলনায় আলাদা হবে। ১০০ বছরের বেশি সময়ের পর প্রথমবারের জন্য টুর্নামেন্টটি পিছিয়ে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে। তবে এটুকু বলতে পারি, এবার এখান থেকে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন প্রত্যেক খেলোয়াড়।’’
এদিকে, সিডনিতে নতুন করে সংক্রমণের ঢেউ দেখা দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে টিলি জানান, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে প্রশাসন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও নিয়মিত আলোচনা করা হচ্ছে। তবে তিনি আশাবাদী, এর প্রভাব অস্ট্রেলিয়ান ওপেন আয়োজনে পড়বে না। সুষ্ঠুভাবেই তা আয়োজিত হবে।