সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘাড়ের ওপর চেপে বসেছে আইএস। পশ্চিম এশিয়ায় প্রশ্নের মুখে অস্তিত্ব । সংগঠন বাড়াতে ভারতীয় উপমহাদেশকেই নিশানা করল আল কায়দা। এক্ষেত্রে তাদের পুঁজি কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আবেগ। সম্প্রতি আল কায়দার এক প্রচারপত্রের কিছু নির্দেশাবলী নয়াদিল্লির চিন্তা বাড়িয়েছে। মুজাহিদিনদের উদ্দেশে যেখানে বলা হয়েছে, বেছে বেছে খতম করতে হবে সেনাবাহিনীকে। তবে সাধারণ মানুষ যেন বিপদে না পড়েন। সেনাকে মুছে দিয়ে খিলাফত প্রতিষ্ঠার ডাক দিয়েছে আল কায়দা।
[সিকিম সীমান্তে চিনা সেনার অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দিল ভারতীয় সেনা]
অনেক দিন ধরে চেষ্টা চলছিল। তেমন সুবিধা হচ্ছিল না। এবার ভারতীয় উপ মহাদেশে সংগঠন বাড়াতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাল আল কায়দা। এই আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন উপ মহাদেশের রণকৌশল ঠিক করতে একটি প্রচারপত্র প্রকাশ করেছে। যার ছত্রে ছত্রে রয়েছে ভারতবিরোধী মন্তব্য। আল কায়দার নিশানা ভারতের নিরাপত্তারক্ষী এবং প্রতিক্রিয়াশীল হিন্দু নেতারা। যে প্রচারপত্রে রয়েছে উপমহাদেশে মুজাহিদিনদের জন্য বেশ কিছু নিয়মাবালী। কোড অব কন্ডাক্টে জানানো হয়েছে মুজাহিদিনদের উদ্দেশ্য কী হবে। কী করণীয়, কোনটা করা যাবে না। আল কায়দা স্পষ্ট করে দিয়েছে সেনারাই তাদের লক্ষ্য। তারা যুদ্ধক্ষেত্র ব্যারাক কিংবা বাড়িতে, যেখানেই থাকুন না কেন হামলা চালাতে হবে। শরিয়ত প্রতিষ্ঠার জন্য এটাই করতে হবে।
[২৫ ফুট উঁচু গন্ডোলা থেকে পড়ে গেল কিশোরী, তারপর…]
নিশানার ক্ষেত্রে কারা অগ্রাধিকার পাবে তা ও ঠিক করে দিয়েছে আল কায়দা। সেনার থেকেও অফিসারকে আগে খতম করতে হবে। পুস্তিকায় বলা হচ্ছে যেসব অফিসাররা কাশ্মীরে ‘ভাই’দের হত্যা করেছে তাদের পৃথিবীতে রাখা যাবে না। পু্স্তিকায় কাশ্মীরের একাধিক রেফারেন্স আনা হয়েছে। সংগঠন বাড়াতে উপমহাদেশের প্রধান করা হয়েছে এক ভারতীয়কেই। উত্তরপ্রদেশের সম্ভলের একদা বাসিন্দা মৌলানা আসিম উমর এই দায়িত্ব পেয়েছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, প্রাক্তন হিজবুল কমান্ডার জাকির মুসা নতুন সংগঠন তৈরি করেছে। এদের সঙ্গে হাত মেলাতে চাইছে আল কায়দা।
গত সপ্তাহে কাশ্মীরে এক ডিএসপিকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। আল কায়দার প্রচারপত্রে বলা হচ্ছে অন্যভাবে না মারলে দরকারে পিটিয়ে মেরে ফেলতে হবে। আইএসের থেকে তারা যে আলাদা তা প্রচারপত্রে বুঝিয়ে দিয়েছে আল কায়দা। পুস্তিকায় বলা হচ্ছে মুজাহিদিনরা কোনওভাবে নিরীহ হিন্দু, মুসলিম বা বৌদ্ধদের ওপর হামলা চালানো যাবে না। এমনকী কোনও ধর্মীয় স্থানেও হানা নয়। পশ্চিম এশিয়ায় আইএস-এর দ্রুত বৃদ্ধির ফলে অনেকটাই চাপে আল কায়দা। ভারতীয় উপমহাদেশকে সামনে রেখে তারা এবার ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া।
The post আল কায়দার নিশানায় ভারত, কাশ্মীরিদের পক্ষে সওয়াল appeared first on Sangbad Pratidin.