সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার ভবিষ্যৎ তিমিরেই রয়ে গেল। আবারও পিছিয়ে গেল শুনানি। পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন বিচারপতি ইউইউ ললিত।বিচারপতি ললিত সরে দাঁড়ানোয় পিছোতে হল শুনানি। আগামী ২৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। তাঁর আগেই গঠন করা হবে নতুন বেঞ্চ।
[উপত্যকায় ‘গণহত্যা’র প্রতিবাদ, চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে আইএএস টপার]
অযোধ্যার মন্দির-মসজিদ বিতর্কের মূল মামলার তারিখ ঠিক করার জন্য বৃহস্পতিবার শুনানি শুরু হয়। শুনানির শুরুতেই মুসলিম পক্ষের আইনজীবী রাজীব ধবন মনে করিয়ে দেন, যে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ এই মামলার শুনানি করছে, তাদের মধ্যে একজন(ইউ ইউ ললিত) একসময় উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংয়ের আইনজীবী ছিলেন। কল্যাণ সিংয়ের নাম অযোধ্যা মামলার সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। এক্ষেত্রে বিচারপতি ললিতের স্বার্থের সংঘাত থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত করেন রাজীব ধবন। মুসলিম পক্ষের আইনজীবীর যুক্তি শুনে নিজেকে এই মামলা থেকে সরিয়ে নেন বিচারপতি ললিত। যদিও, তাঁর অপাসরণের দাবি জানায়নি মুসলিম সংগঠন। তাদের দাবি, তাঁরা শুধু বিষয়টি তুলে ধরতে চেয়েছিলেন।
[নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে ঘরে বাইরে চাপে বিজেপি, অসমে পদত্যাগ দলের মুখপাত্রের]
সাংবিধানিক বেঞ্চের এক বিচারপতি সরে দাঁড়ানোয় ফের বাতিল হয়ে যায় শুনানি। আবার নতুন করে বেঞ্চ গঠন করে ২৯ জানুয়ারি শুনানি করা হবে। সেদিনই ঠিক হবে মূল মামলা কবে থেকে শুরু হবে। তাছাড়া, এই মামলা সংক্রান্ত বহু নথি রয়ে গিয়েছে হিন্দি, উর্দূ, সংস্কৃত ভাষাতে। সেই নথিগুলি এখনও পুরোপুরি ইংরেজিতে অনুবাদ করা সম্ভব হয়নি। মুসলিম পক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, নথিগুলির ইংরেজিতে তরজমা না হওয়া পর্যন্ত চূড়ান্ত শুনানি সম্ভব নয়। এরপরই এই সমস্ত নথির অনুবাদ কতদূর এগিয়েছে সে সংক্রান্ত রিপোর্ট চেয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ জানুয়ারি। সেদিনই জানা যাবে নতুন বেঞ্চে কোন কোন বিচাপতি থাকবেন। এবং কবে থেকে মূল মামলার শুনানি হবে। শুনানির নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা বেধে দেওয়া হবে কিনা, তাও ঠিক হবে ২৯ জানুয়ারিই।