shono
Advertisement

রামমন্দির উদ্বোধন নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া, কী বলল পাকিস্তান? 

সোমবার গোটা ভারত মেতে উঠেছিল রামমন্দিরের উদ্বোধনে।
Posted: 09:11 PM Jan 22, 2024Updated: 09:36 AM Jan 23, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ ভারতে ক্রমবর্ধমান সংখ্যাগুরুবাদের ইঙ্গিতবাহী।” এই ভাষাতেই রামমন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের নিন্দা করল পাকিস্তানের (Pakistan) বিদেশমন্ত্রক। ইসলামাবাদের তরফে আরও বলা হয়, “বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেছিল কিছু চরমপন্থী।” এমনকী ভারতের বিচার ব্যবস্থা সেই ঘৃণ্য কাজকে সমর্থন করেছে। 

Advertisement

২২ জানুয়ারি, সোমবার অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। বিরাট মন্দিরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতজুড়েই যা নিয়ে ছিল বিরাট উন্মাদনা। এমনকী বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে রামজোয়ার দেখা যায়। এই আবহে বাবরি ভেঙে রামমন্দির নির্মাণের ঘটনাকে সরাসরি নিন্দা করল পাকিস্তান। এক বিবৃতিতে পাক বিদেশমন্ত্রক মন্তব্য করে, “দুঃখজনকভাবে ভারতের উচ্চতর বিচার বিভাগ শুধুমাত্র এই ঘৃণ্য কাজের জন্য দায়ী অপরাধীদের বেকসুর খালাসই করেনি, বরং ভেঙে ফেলা মসজিদের জায়গায় একটি মন্দির নির্মাণেরও অনুমতি দিয়েছে।”

 

[আরও পড়ুন: রামমন্দিরের সম্প্রচার নিয়ে অশান্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, ‘রাম’পন্থীদের সঙ্গে বাম ছাত্রদের হাতাহাতি]

আরও বলা হয়েছে, “গত ৩১ বছরের ইতিহাস রামমন্দির উদ্বোধনের দিকে পরিচালিত হয়েছে। যা ভারতে ক্রমবর্ধমান সংখ্যাগুরুবাদের ইঙ্গিত দেয়। এই ধরনের কাজ ভারতীয় মুসলমানদের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে প্রান্তিক করে দেওয়ার প্রচেষ্টা।” মসজিদ ভাঙা ভারতীয় গণতন্ত্রের জন্য কলঙ্কজনক ঘটনা। জ্ঞানবাপী, মথুরা ইদগাহ মসজিদ বর্তমানে একই ধরনের হুমকির মুখে পড়েছে। একথাও বলে ইসলামবাদ। যদিও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পাকিস্তানের মুখে একথা মানায় না। কারণ সেদেশে গত কয়েক দশক ধরেই সংখ্যালঘু হিন্দুরা বিপন্ন। এমনকী বিভিন্ন সময় জোর করে তাঁদের ধর্ম বদলেরও অভিযোগ ওঠে।   

 

[আরও পড়ুন: কনকনে ঠান্ডায় টানা ১১ দিন মাটিতে শয্যা, রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগে ‘আত্মশুদ্ধি’ নমোর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement