shono
Advertisement

Breaking News

KG থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সিলেবাসে আবশ্যিক আয়ুর্বেদ-যোগ, অপেক্ষা কেন্দ্রের অনুমোদনের

স্টিয়ারিং কমিটি ও টাস্ক ফোর্সে পাঠানো হয়েছে খসড়া।
Posted: 05:23 PM Dec 18, 2021Updated: 06:14 PM Dec 18, 2021

গৌতম ব্রহ্ম: কেজি থেকেই স্কুল পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে যোগ ও আয়ুর্বেদ (Yoga and Ayurveda)। সিলেবাসের খসড়া তৈরির কাজ শেষ। দ্বাদশ পর্যন্ত সব ক্লাসের জন্যেই থাকবে যোগ ও আয়ুর্বেদের আবশ্যিক পাঠ। শনিবার সংসদে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে এমনটাই জানিয়েছেন আয়ুশ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। ইতিমধ্যে প্রতিটি ক্লাসের জন্য সিলেবাসের খসড়া করা হয়েছে। তা কেন্দ্রের অনুমোদন সাপেক্ষে কার্যকরের পথে হাঁটা হবে। 

Advertisement

২০২০ সালে নতুন শিক্ষানীতি (NEP 2020) প্রণয়ন করেছে কেন্দ্র। সেখানে স্বদেশী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে স্কুলের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করার কথা রয়েছে। সেই নীতি মেনেই তৈরি করা হয়েছে একটি স্টিয়ারিং কমিটি (Steering Committee) ও একটি টাস্ক ফোর্স (Task Force)। এরাই ক্লাস অনুযায়ী সিলেবাস চূড়ান্ত করবে।

[আরও পড়ুন: ১২ বছর পরে ‘মৃত’ ব্যক্তির চিঠি এল পাকিস্তানের জেল থেকে! বিহারে ঘনাচ্ছে রহস্য]

এ বিষয়ে ডাক্তার বিশ্বজিৎ ঘোষ জানাচ্ছেন, ”আয়ুর্বেদ ও যোগ ভারতীয় সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, যা এবার স্কুলের পাঠ্যক্রমে সংযুক্ত হতে চলেছে। এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করি এতে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ছোট থেকেই সংস্কার গঠনের পাশাপাশি স্বদেশী বিজ্ঞানচর্চার প্রতি আগ্রহ বাড়বে।” যোগ বিশারদ ডাক্তার অভিজিৎ ঘোষের বক্তব্য, ”ছোট থেকে কোনও কিছু শিখলে তা শরীর-মনে আত্তীকরণ হয়। প্রয়োগের ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ভাবী প্রজন্মের চরিত্র গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। ধন্যবাদ কেন্দ্রের আয়ুশ মন্ত্রককে।”

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদ, জয়পুরের ডিরেক্টর ডা. সঞ্জীব শর্মা জানিয়েছেন, ”দু-তিন মাস আগেই আমরা খসড়া তৈরি করে পাঠিয়েছি। আমরা আয়ুর্বেদের বিষয়টি করেছি। মোরারজি দেশাই ইনস্টিটিউট অফ যোগা বিষয়টির খসড়া করেছে। আশা করি, দ্রুত শিক্ষামন্ত্রক সিলেবাস চূড়ান্ত করবে।”

[আরও পড়ুন: কোভিশিল্ডের থেকেও বেশি কার্যকর কোভোভ্যাক্স! বুস্টার হিসেবে দেওয়ার দাবি কেন্দ্রীয় গবেষকের]

নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে স্কুলস্তরে আয়ুর্বেদ ও যোগা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী কাজও শুরু হয়। এরপর দেশের যোগ ও আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে কোন শ্রেণিতে কী পড়ানো হবে, তার প্রাথমিক খসড়া তৈরি হয়েছে। জয়পুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদ (NIA) এর দায়িত্বে বাকি কাজ হবে বলে এদিন জানা গিয়েছে। শনিবার সংসদে এই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে দ্রুতই নতুন সিলেবাস চালু হবে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল।   

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement