সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে একদফা বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার অযোধ্যায় যাচ্ছেন ‘আর্ট অফ লিভিং’-এর প্রাণপুরুষ শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর। বাবরি ইস্যুতে যাবতীয় বিতর্কের মধ্যস্থতা করতেই তাঁর এই সফর বলে জানা গিয়েছে। আজ সেখানে গিয়ে তিনি কী বার্তা দেন, সেদিকে নজর থাকবে সকলের।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও অল ইন্ডিয়া মুসলিম ল’ বোর্ড- দু’তরফের প্রতিনিধিদের সঙ্গেই আজ বৈঠক করতে পারেন রবিশঙ্কর। তবে এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষনা হয়নি। স্বঘোষিত এই ধর্মগুরু জানিয়েছেন, অযোধ্যা সমস্যার সমাধানের জন্য তিনি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবেন। তার জন্য প্রয়োজনে সবপক্ষের সঙ্গেই বৈঠকে বসতে রাজি তিনি। প্রত্যেকের দাবিদাওয়া শুনে কোনও যৌথ সমাধানসূত্র খুঁজে বার করার পক্ষে মত দিয়েছেন এই ধর্মগুরু।
ঘরোয়া পরিবেশে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, কোনও পক্ষের সঙ্গেই আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকে বসার কোনও কথা হয়নি। কিন্তু হিন্দু বা মুসলিম-কোনও সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তাঁদের উদ্যোগকে স্বাগত জানাবেন তিনি, জানিয়েছেন রবিশঙ্কর। বুধবারই অযোধ্যা ইস্যুতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাসভবনে একদফা বৈঠক সেরেছেন তিনি। তাঁদের ওই বৈঠককে এক উচ্চপদস্থ সরকারি আমলা ‘শুভ উদ্যোগ’ বলে মন্তব্যও করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অবশ্য স্পষ্ট। অযোধ্যা নিয়ে আদালতের নির্দেশকেই মান্যতা দেবে রাজ্য সরকার, জানিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ।
১৯৯২-তে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর থেকেই অযোধ্যায় নিয়ে যুযুধান হিন্দু ও মুসলিম সংগঠন। দু’পক্ষই চায় অযোধ্যায় নিজেদের দাবি কায়েম হোক। জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। তবে আদালতও চায়, কারও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত না করে বিষয়টি নিয়ে মীমাংসায় পৌঁছতে। আর তাই সব পক্ষকেই আলোচনায় বসে মধ্যস্থতা করার ইঙ্গিত দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আর তাই রবিশঙ্করের এদিনের সফর। উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল রাম নায়েকও তাঁর এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
এই বিতর্কের মধ্যেই উত্তেজনার পারদ চড়িয়েছে বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর একটি টুইট। তিনি লিখেছেন, ‘হিন্দুরা জাগো। মুসলিমরা মসজিদ অন্যত্র সরাতে চাইছে না। পবিত্র রাম জন্মভূমিতে কর্তৃত্ব কায়েম করতে চাইছে তাঁরা।’
The post বাবরি-রাম মন্দির বিতর্কে মধ্যস্থতা করতে অযোধ্যায় রবিশঙ্কর appeared first on Sangbad Pratidin.