সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফেসবুকে বেশ কয়েকটি ‘পোস্ট’ শেয়ার করে চাকরি খোয়ালেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যসচিব আর ওয়াই আর কৃষ্ণ রাও। তাঁকে অন্ধ্রপ্রদেশ ব্রাহ্মণ ওয়েলফেয়ার কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে বরখাস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু।
[চাকরির টোপ দিয়ে শপিং মলের পার্কিং জোনে ধর্ষণ মহিলাকে]
গত বছরের জানুয়ারিতেই অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যসচিবের পদ থেকে অবসর নেন কৃষ্ণ রাও। অবসর নেওয়ার পর, তাঁকে অন্ধ্রপ্রদেশের ব্রাহ্মণ ওয়েলফেয়ার কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদে বসিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। মূলত রাজ্যের ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের উন্নতিসাধনের লক্ষ্যেই কাজ করে এই সংস্থাটি। জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরেই নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কয়েকটি পোস্ট শেয়ার করেছেন কৃষ্ণ রাও। যেখানে বলা হয়েছে, জাতপাত নিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, বাহুবলী- সহ দুটি আঞ্চলিক সিনেমাকে করমুক্ত ঘোষণা করার সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করা হয়েছে ওই পোস্টগুলিতে। এমনকী, প্রায় ২৩ বছর আগে একটি তেলুগু পত্রিকায় এনটি রামা রাওয়ের ব্যঙ্গাত্বক কার্টুন ছাপানোর পিছনেও তাঁর জামাই ও অন্ধ্রপ্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর হাত ছিল বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, অন্ধ্রপ্রদেশে তেলেগু দেশম পার্টির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডুর শ্বশুড় এনটি রামা রাও। ১৯৯৫ সালে তাঁকে সরিয়ে দলের কর্তৃত্ব নিজের হাতে নেন চন্দ্রবাবু। ফেসবুকে এইসব বির্তর্কিত পোস্ট শেয়ার করার পরই কৃষ্ণ রাও-কে অন্ধ্রপ্রদেশ ব্রাহ্মণ ওয়েলফেয়ার কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু।
[গাড়িতে উলটো জাতীয় পতাকা, বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রী]
প্রশাসনিক মহলে মিতভাষী বলেই পরিচিত কৃষ্ণ রাও। তিনি হঠাৎ ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী সমালোচনা কেন করলেন, তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। অন্ধ্র সরকারের মিডিয়া উপদেষ্টা পারাকাল প্রভাকর বলেন, ‘নিজে সরকারের অংশ হয়েও, কৃষ্ণ রাও কেন এটা করলেন, বুঝতে পারছি না।’ যদিও কৃষ্ণ রাও বলেছেন, সরকার যদি তাঁর কাছে ব্যাখ্যা চায়, তাহলে তিনি সরকারকে যা বলার বলবেন। বস্তুত, গত ছ’মাস ধরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করছেন বলে দাবি করেছেন এই আমলা।
[কোচি মেট্রোতে কর্মী রূপান্তরকামীরা, কী তাঁদের আরজি জানেন?]
দিন কয়েক আগেই গুজরাট বিধানসভার স্পিকার রামনলাল ভোরাকে ‘কাকা’ সম্বোধন করে চাকরি খোয়াতে হয়েছিল এক নিরাপত্তারক্ষীকে। এমনকী, সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে চুক্তিও খারিজ করে দিয়েছিল গান্ধীনগর সিভিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।