সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন তিনি। আর তাঁর পুরনো লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। এ নিয়ে সোমবার সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুললেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। একদিকে তিনি যেমন বিজেপিকে তুলোধোনা করলেন তেমনই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।
আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বিজেপি (BJP) তাঁকে ‘বহিরাগত’ বলে কটাক্ষ করেছে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে সেই কটাক্ষেরও জবাব দিলেন আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বাবুল। বললেন, “কে বহিরাগত! দেশের সর্বত্র শত্রুঘ্নজিকে সবাই চেনেন। কাশ্মীরে নামলেও মানুষ তাঁকে চেনেন আবার বিদেশে গেলেও মানুষ চেনে। তাই অন্য কারোর কথায় কান দিতে রাজি নই।” একইসঙ্গে শত্রুঘ্ন সিনহার ভূয়সী প্রংশসা করেন বাবুল। বলেন, “শত্রুঘ্নজিও বিজেপির মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ছিলেন। আমিও ছিলাম। আমাদের মেরুদণ্ড আছে। তাই সত্যি কথা বলেছি। দল ছাড়তে বলেছি।”
[আরও পড়ুন: আরও বিপাকে বইমেলায় পকেটমারির অভিযোগে ধৃত অভিনেত্রী, বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ]
এদিন বিজেপির তুমুল সমালোচনা করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বলেন, “বাংলা থেকে কাউকে পূর্ণমন্ত্রী করেনি বিজেপি। আমি বলব, যাঁরা এখনও পদের লোভে, টাকার লোভে বিজেপিতে রয়ে গিয়েছেন, তাঁরা আমার পথ অনুসরণ করুন।” তার পরই তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রতি ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন বাবুল। বলেন, “রাজনীতির বাইরেও দিদি আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। খোঁজখবর নিতেন। প্রশংসা করতেন। দিদির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।”
এদিনও যথারীতি বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও একহাত নেন বাবুল। তাঁর কটাক্ষ, দিলীপ ঘোষকে নিয়ে কিছু বলতে আমার রুচিতে বাঁধে। উনি তো সংবাদমাধ্যমের খোরাক। তবে এটা ওঁকে মনে রাখতে হবে, আমার পরে উনি রাজনীতিতে এসেছেন।” বাবুলের সমালোচনা করেছিলেন বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তাঁর প্রশংসা করে বাবুল বলেন. “বিজেপিতে যে ক’জন শিক্ষিত নেতা আছেন সুকান্ত তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ওঁর সমালোচনা আমার প্রেরণা।” এবার উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে তৃণমূলের জয় সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী তিনি।