shono
Advertisement

Breaking News

‘এত বছর দল করে ঝুনঝুনি পেলেন’, দিলীপকে তীব্র কটাক্ষ বাবুলের

'বেশি অপমানিত হলে দুয়ারে সরকারে যোগাযোগ করতে পারেন', কটাক্ষ কুণালের।
Posted: 04:29 PM Jul 29, 2023Updated: 04:29 PM Jul 29, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপিতে থাকাকালীনই দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সঙ্গে বিশেষ বনিবনা ছিল না বাবুল সুপ্রিয়র। নিত্যদিন একে অপরের দিকে বাক্যবাণ, পালটা কটাক্ষ লেগেই থাকতে। বিজেপি ছাড়ার পর দিলীপকে ‘বর্ণপরিচয়’ উপহার দিতে চেয়েছিলেন বাবুল। সেই দিলীপ ঘোষ এবার বিজেপিতে পিছনের সারিতে। দলের রাজ্য সভাপতির পদ আগেই খুয়েছিলেন। এবার কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতির পদটাও খোয়াতে হল। স্বাভাবিকভাবেই সুযোগ বুঝে দিলীপের কাঁটা ঘায়ে খানিক নুনের ছিটে দিয়ে দিলেন বাবুল।

Advertisement

দিলীপ মন্ত্রিত্ব হারানোর পরই রীতিমতো বিস্ফোরক টুইট করেছেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তথা অধুনা বাংলার মন্ত্রী বলছেন,”সর্বভারতীয় বিজেপি আসলে বাঙালিদের ঘৃণা করে। বাঙালিরা এই গদ্দার পার্টির কাছে মূল্যহীন। এখন শুধুমাত্র একটা জোকার বাংলায় বিজেপির প্রতিনিধিত্ব করেন। সেটা যে কে আশা করি সবাই আন্দাজ করতে পারবেন।” দিলীপকে নিশানা করে বাবুল বলছেন,”বাংলা বিজেপির মুখ বন্ধ করে দেওয়া হল। এবার উনি নিজের ওষুধের স্বাদ বুঝবেন। এত বছর দল করার পর ঝুনঝুনি পেলেন। এবার উনি নিশ্চয়ই বুঝবেন, জেতা সাংসদ আসন মুখের উপর কেন ছুঁড়ে দিয়ে এসেছিলাম।”

[আরও পড়ুন: একমঞ্চে পওয়ার-মোদি! খাড়গের দ্বারস্থ উদ্বিগ্ন INDIA জোট]

বাবুল একা নন, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও (Kunal Ghosh) বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে কটাক্ষের তিরে বিঁধেছেন। তাঁর বক্তব্য,” দিলীপ ঘোষের নাম সহ-সভাপতি পদ থেকে সরে গেল। অনেকে বলেছেন ললিপপের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার পদ কয়েক মাসের জন্য শান্ত্বনা পুরষ্কার পেতে পারেন। এরা মিউজিক্যাল চেয়ারে থাকেন। বেশি অপমানিত হলে, দুয়ারে সরকারে আসার কথা ভেবে দেখতে পারেন দিলীপ ঘোষ। তার বাড়ির লোকেদের মতো। যারা যারা নানা সমস্যায় থাকে, তাদের জন্য সরকারের নানা স্কিম থাকে। আগেও উত্তর দিনাজপুরের এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বাদ দিয়েছিল। আমরা বলছি জীবনের সমস্যা থাকলে, দুয়ারে সরকারের স্কিম ভেবে দেখতে পারেন।”

[আরও পড়ুন: ‘এবার রাহুলের বিয়েটা দিন’, কৃষক মহিলার আরজিতে কী বললেন সোনিয়া?]

দিলীপ নিজে অবশ্য পদ হারানোটাকে ধাক্কা হিসাবে দেখতে নারাজ। তিনি দাবি করেছেন, যারা লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন তাঁদের দলীয় পদ থেকে মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। মজার কথা হল, তাঁর দলেরই সতীর্থ তথা কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলা থেকে ঠাঁই পাওয়া একমাত্র সদস্য অনুপম হাজরা আবার সেই তত্ত্ব মানছেন না। তিনি বলছেন,”বিজেপির সংবিধানে কোথাও লেখা নেই যে কেন্দ্রীয় পদাধিকারীরা নির্বাচনে লড়তে পারবেন না। অনেকেই আছেন যারা কেন্দ্রীয় পদাধিকারী থাকাকালীন সাংসদ হয়েছেন।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement