সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্যই দলবদল করেছেন। পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। তা সত্ত্বেও ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচারে দেখা যায়নি তাঁকে। আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের আরও চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন। ইতিমধ্যেই তারকা প্রচারকের (Star Campaigner) তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। তবে তাতে নাম নেই বাবুল সুপ্রিয় এবং নুসরত জাহানের। কেন বাবুলের নাম বাদ গেল, তা নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে। তাহলে কি তৃণমূলে ব্রাত্য তিনি, উঠতে শুরু করেছে সেই প্রশ্ন। টুইটে সেই জল্পনা ওড়ালেন বাবুল সুপ্রিয়।
বাবুল (Babul Supriyo) টুইটে লেখেন, “আমি এখনও বিজেপি সাংসদ। সম্মানীয় স্পিকারকে চিঠি লিখে সময় চেয়েছিলাম যাতে আমি নিয়মানুযায়ী পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারি। কলকাতায় গুছিয়ে নিতে আমাকে কিছুটা সময় দেওয়ার জন্য তৃণমূলকে ধন্যবাদ।”
উল্লেখ্য, এর আগে ভবানীপুর উপনির্বাচনের (Bhabanipur By-Election) প্রচারেও বাবুলকে দেখা যায়নি। ভবানীপুরে মমতার হয়ে তাঁর প্রচার করার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই বলেই জানিয়েছেন বাবুল। এবার এই টুইটের মাধ্যমে তৃণমূল গুরুত্ব না পাওয়ার বিতর্কে যে জল ঢেলেছেন বাবুল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
[আরও পড়ুন: চিংড়িঘাটায় বাইক থেকে ছিটকে পড়লেন যুবক, দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন মাথা]
আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্র – দিনহাটা, শান্তিপুর, গোসাবা, খড়দহে উপনির্বাচন। একমাত্র খড়দহ আসনটি ছাড়া বাকি তিনটিতেই প্রার্থী নির্বাচন হয়েছে স্থানীয় নেতৃত্বকে গুরুত্ব দিয়ে। স্থানীয় নেতাকেই জনপ্রতিনিধিত্বের লড়াইয়ে এগিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে তাঁদের সমর্থনে, তাঁদের হয়ে ভোট চাইতে প্রতিটি কেন্দ্রে গিয়ে প্রচার করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রচারকের তালিকায় রয়েছে যাদবপুরের দলীয় সাংসদ মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty), ঘাটালের সাংসদ দেব (Dev)। এছাড়া তৃণমূলের তারকা বিধায়করাও এই চার কেন্দ্রের প্রার্থীদের হয়ে জনতার কাছে ভোট চাইবেন। সূত্রের খবর, পুজো মিটলেই তারকা প্রচারকদের কর্মসূচি ঠিক হয়ে যাবে। প্রচারের শেষ দিন ২৭ অক্টোবর। তার মধ্যে উৎসবের দিনগুলিও রয়েছে। ফলে খানিকটা দ্রুততার সঙ্গেই তারকা জনপ্রতিনিধিদেরও কাজ করতে হতে পারে। সবমিলিয়ে, ভোটের প্রচারে বেশ খানিকটা চমক রাখতে চাইছে রাজ্যের শাসকদল।