শুভঙ্কর বসু: ‘থিম সং’ নিয়ে আসানসোলের বিদায়ী সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র উত্তর পর্যালোচনার পর দিল্লি পাঠিয়ে দিল রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর (সিইও অফিস)। থিম সং নিয়ে শোকজের যে জবাব বাবুল সুপ্রিয় দিয়েছিলেন তা নিয়ে রাজ্যস্তরের কমিটিতে আলোচনায় বসেন সিইও অফিসের কর্তারা। এবিষয়ে তাদের পর্যবেক্ষণও কমিশনে জানানো হয়েছে। দিল্লি এবার এবিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে। এবিষয়ে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু বলেন, “এবিষয়ে অনেকগুলি অভিযোগ জমা পড়েছিল। সেগুলি নিয়ে আমরা আলোচনা করার পর আমাদের যাবতীয় পর্যবেক্ষণ কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনও কোনও উত্তর আসেনি।” এদিকে বাবুল সুপ্রিয়র তৈরি এই ‘থিম সং’ অনুমোদনের জন্য সিইও অফিসে গানের স্বরলিপি জমা দিয়েছিল রাজ্য বিজেপি। গানটি গাওয়ার ছাড়পত্র দিল না সিইও অফিস। সূত্রের খবর, গানের বেশ কিছু ‘কথা’ নিয়ে আপত্তি রয়েছে সিইও অফিসের। সেগুলি পরিবর্তন করে ফের আবেদন করতে বলা হয়েছে। সঞ্জয়বাবু বলেন, “যে আবেদন বিজেপির তরফে করা হয়েছিল তা তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এবিষয়ে তাদের সাজেশনও দিয়েছি।”
তবে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুর বক্তব্য প্রসঙ্গে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি সিইও অফিস। এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই বসিরহাট থানায় সায়ন্তনের বিরুদ্ধে এফআইআর হয়েছে। গোটা ঘটনায় উত্তর ২৪ পরগনার নির্বাচনী আধিকারিক বা জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। এখনও জেলার তরফে কোনও রিপোর্ট জমা পড়েনি বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত সিইও। যেখানে ইন্টারনেট কানেকশন নেই সেসব এলাকায় সিভিজিল বা বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ জানানো যাচ্ছে না। এই অভিযোগে এদিন সিইও অফিসে দরবার করে সিপিএম। তাদের অভিযোগ, একাধিক জেলা আধিকারিক লিখিত অভিযোগ জমা নিচ্ছেন না। এ প্রসঙ্গে অবশ্য সিইও অফিস জানিয়ে দিয়েছে, শুধু অ্যাপ নয়। আগের মতো রাজ্যের সর্বত্র লিখিত অভিযোগ জমা নেওয়া হবে। যদি কোনও আধিকারিক লিখিত অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন তবে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন অতিরিক্ত সিইও। পাশাপাশি ১৯৫০ নম্বরে ফোন করেও অভিযোগ জানানো যাবে। এছাড়াও সিইও অফিস জানিয়েছেন, এবার উত্তর কলকাতা জেলা ভোট আইকন নির্বাচিত হয়েছেন প্রখ্যাত পর্বতারোহী ও আইন বিশেষজ্ঞ ড. কাঞ্চন গাবা। নদিয়া জেলার ভোট আইকন নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাথলিট সোমা বিশ্বাস।