ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মেয়ের সম্ভ্রম বাঁচাতে গিয়ে মায়ের মৃত্যুর ঘটনার পর কেটে গিয়েছে প্রায় দু’দিন। তবে এখনও থমথমে বাগনানের (Bagnan) খাদিনান মোড়। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর। যেই জড়িত থাক না কেন, রাজনৈতিক পরিচিতি ভুলে প্রত্যেকেই শাস্তি পাবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন তৃণমূলের নেতারা। কথা অনুযায়ী হল কাজ। বাগনান কাণ্ডে জড়িত কুশ বেরাকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছে। দল থেকেও বহিষ্কৃত সে। এবার তার স্ত্রী রমা বেরাকেও দল থেকে বহিষ্কার করা হল।
শুক্রবার হাওড়া জেলা গ্রামীণ তৃণমূলের সভাপতি পুলক রায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, “এই ঘটনায় যে বা যারা যুক্ত তাদের শাস্তি দেওয়া হবে বলে আগেই জানানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ২ জনকে ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেহ যাওয়ার পর অশান্তির জেরে একজন জখম হয়েছেন। যে এই কাজ করেছে তাকেও শাস্তি দেওয়া হবে। এর আগেও বাগনানে এক তরুণীর খুনের ঘটনা ঘটে। তাতেও অভিযুক্তরা শাস্তি পেয়েছে।” নাম না করে বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “যাঁরা অযথা এই ঘটনা নিয়ে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছেন, তাঁরা দিবাস্বপ্ন দেখছেন।”
[আরও পড়ুন: যৌনতার ইশারায় সাড়া দেওয়াই কাল! বাড়িতে ডেকে পেটে কাঁচি ঢুকিয়ে প্রেমিককে খুন করল গৃহবধূ]
উল্লেখ্য, গত বুধবার বাগনান ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যার স্বামী কুশ বেরার বিরুদ্ধে কলেজছাত্রীর মাকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। ওই তরুণীর দাবি, খাদিনান মোড়ের বাসিন্দা এক কলেজ ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে সে। সঙ্গে ছিল আরও একজন। ছাদ থেকে কলেজ ছাত্রীর আর্তনাদ শুনে দৌড়ে যান তাঁর মা। মেয়ের সম্ভ্রম বাঁচাতে গেলে তৃণমূল নেতার সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তাঁর। অভিযুক্তের এক ধাক্কায় সিঁড়ি থেকে গড়িয়ে নিচে পড়ে যান কলেজ ছাত্রীর মা। মাথায় প্রচণ্ড চোট লাগে। তাঁকে ভরতি করা হয় হাসপাতালে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। মহিলার মৃত্যু হয়। এদিকে, পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত কুশ। যদিও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ কুশ ও তার সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে। দল থেকেও বহিষ্কার করা হয় কুশকে।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে শহিদ বাংলার যুবক, শোকের ছায়া সবংয়ের গ্রামে]
The post স্বামীর ‘কুকীর্তি’র শাস্তি, দল থেকে বহিষ্কৃত বাগনানের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যাও appeared first on Sangbad Pratidin.