shono
Advertisement

দিল্লিতে ভোটের আগে ৬ বছরের পুরনো মামলায় বিপাকে কেজরি

সুরেন্দ্র কুমার শর্মা নামে এক আইনজীবীর মামলার ভিত্তিতে এই পরোয়ানা জারি হয়।
Posted: 05:38 PM Apr 24, 2019Updated: 06:07 PM Apr 24, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নামে জারি হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। ২০১৩ সালে দায়ের হওয়া একটি মানহানির মামলায় কেজরিওয়াল, মণীশ সিসোদিয়া ও স্বরাজ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট যোগেন্দ্র যাদবকে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারক। কিন্তু, তা মানেননি তাঁরা। এরপরই মঙ্গলবার ওই আদালতের বিচারক দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাজ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্টের নামে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করেন বিচারক। সুরেন্দ্র কুমার শর্মা নামে এক আইনজীবীর দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

কিন্তু, বুধবার ওই আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সমর বিশালের এজলাসে ওই তিনজনের জামিন অযোগ্য পরোয়ানা বাতিল করার জন্য আবেদন জানান তাঁদের আইনজীবীরা। সওয়াল-জবাবের পর তাতে সম্মতি দিয়ে ওই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন মাননীয় বিচারক। আগামী ২৯ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন মূল বিষয়টি শোনা হবে বলেও জানান তিনি।

[আরও পড়ুন-বিজেপির কাঁটা বসুন্ধারা, রাজস্থানের প্রচারযুদ্ধে এগিয়ে গেহলট-শচীনরাই]

সুরেন্দ্র কুমার শর্মার অভিযোগ, ২০১৩ সালে আপ-এর কিছু স্বেচ্ছাসেবক এসে তাঁকে ওই দলের হয়ে দিল্লি বিধানসভার ভোটে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দেন। বলেন, কেজরিওয়াল তাঁর সমাজসেবামূলক কাজে খুশি হয়ে তাঁকে ভোটে দাঁড় করাতে চাইছেন। তাঁর কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন কেজরিওয়াল, মণীশ সিসোদিয়া ও যোগেন্দ্র যাদব তাঁকে দিল্লি বিধানসভা ভোটে টিকিট দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। তাঁদের আশ্বাস পেয়ে সুরেন্দ্র আবেদনপত্রও পূরণ করেন। কিন্তু, তারপরই তাঁকে টিকিট দিতে অস্বীকার করেন ওই আপ নেতারা। আর তা নিয়েই হয় গন্ডগোলের সূত্রপাত। এমনকী ১৪ অক্টোবর কিছু সংবাদপত্রে তাঁর নামে ওই আপ নেতারা অপমানজনক ও বিতর্কিত মন্তব্য পর্যন্ত করেছিলেন। যার ফলে ব্যক্তিগত ও আইনজীবী মহলে তাঁর সম্মানহানি হয় বলেও অভিযোগ। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement