দীপঙ্কর মণ্ডল: অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baisakhi Bannerjee)। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের প্রতি অভব্য ভাষা প্রয়োগের অভিযোগে পুরমন্ত্রীকে আইনি নোটিস পাঠালেন তিনি।
মিল্লি আল আমিনের ছাত্রীদের একটি অংশ কলেজ ক্যাম্পাসে নির্দিষ্ট কিছু দাবিতে অবস্থানে বসেছিলেন। ৪ ডিসেম্বর সেখানে গিয়ে পুরমন্ত্রী আন্দোলনে সহমর্মিতা জানানোর পাশাপাশি বলেন, “কলেজ কে টিচার ইনচার্জ কো উখাড় কে ফেক দো।” এই আহ্বানের ফলে তাঁর উপর প্রাণঘাতী হামলা হতে পারে বলে মনে করেন বৈশাখী। তিনি পরের দিনই রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) নামে নালিশ করেন। রাজভবন থেকে বেরিয়ে তিনি এবং কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় একযোগে পুরমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রবল নিন্দা করেন। ফিরহাদের উদ্দেশ্যে জনতার সামনে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান বৈশাখী। গত এক সপ্তাহে নিজের মন্তব্য থেকে সরে আসেননি কলকাতার বর্তমান পুর প্রশাসক।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত খাস কলকাতা, মারধর-ভাঙচুরের অভিযোগ দু’পক্ষেরই]
মাঝে অনেক ঘটনা ঘটে যায়। শোভন-বৈশাখী রাজভবন থেকে ফেরার পরেরদিনই মিল্লি আল আমিন থেকে রামমোহন কলেজে বদলি করা হয় বৈশাখীকে। সরকারি সেই চিঠি তিনি মেনে নিতে পারেননি। পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রীর মন্তব্যে তিনি অপমানিত বোধ করেন। অধ্যাপক পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে রাজভবন, মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও উচ্চশিক্ষা দপ্তরে ইস্তফার চিঠি পাঠান বৈশাখী।
[আরও পড়ুন: নাড্ডার কনভয়ে হামলা: তিন IPS আধিকারিককে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনের জন্য তলব]
এরপর ফিরহাদ হাকিমকেও আইনজীবীর মাধ্যমে এদিন চিঠি পাঠান বৈশাখী। তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অসম্মান করা হয়েছে। তাঁর মানহানি হয়েছে। সেই জন্যই পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে জনসমক্ষে সংবাদ মাধ্যমের সামনে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। পাশাপাশি সমাজের বিশিষ্ট একজন মানুষকে অপমান করার খেসারত হিসাবে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণও দিতে হবে। বৈশাখীর আইনি চিঠি প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিমের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তাঁকে এসএমএস করা হয়েছিল। জবাব মেলেনি।