সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের জেরে মিলছে মুসলিম মৌলবাদীদের লাগাতার হুমকি! এবার আতঙ্কিত নেটিজেনদের জন্য দ্রুত হেল্পলাইন চালু করতে চলেছে বজরং দল। উদয়পুর হত্যাকাণ্ডের আবহে এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
বুধবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন বলেন, “কানহাইয়া লাল ও উমেশ কোলের হত্যার মাধ্যমে দেশজুড়ে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা চলছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় করা পোস্টের জন্য মানুষজনকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আজ গোটা বিশ্ব মুসলিম মৌলবাদের কারণে বিরক্ত। কিন্তু গত কয়েকদিনে এই বিষ আরও দ্রুত ছড়াচ্ছে। কারও পোস্ট পছন্দ না হলে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া যায়! হিন্দুরা এটা মেনে নেবে না।” তিনি আরও বলেন, “এই বিষয়ে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না করলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুব সংগঠন বজরং দল আছে। দ্রুত আমরা রাজ্যে রাজ্যে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করছি। কোনও হুমকি পেলে বজরং দলের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।”
[আরও পড়ুন: নূপুর শর্মাকে খুনের ‘নিদান’ দেওয়ার পরই গ্রেপ্তার আজমেঢ় শরিফের খাদিম]
কয়েকদিন আগে রাজস্থানের উদয়পুরের বাসিন্দা পেশায় দর্জি কানহাইয়া লাল (Kanhaiya Lal) সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma) সমর্থন করে পোস্ট করেছিলেন। এরপর থেকেই তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এই বিষয়ে পুলিশে অভিযোগও জানিয়েছিলেন তিনি। এরপর তাঁর দোকানে ঢুকে তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করে দুই মুসলিম মৌলবাদী। হত্যার ভিডিও তুলে তা ছড়িয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। অন্য একটি ভিডিওতে তারা নূপুর শর্মা ও নরেন্দ্র মোদিকেও খুনের হুমকি দেয়।
তারপর ২১ জুন ফের একই ধরনের ঘটনা ঘটে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। আরএসএস (RSS) মুখপত্র ‘অর্গানাইজার’ (Organizer Weekly) দাবি করে, বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মাকে (Nupur Sharma) সমর্থন করে পোস্ট করায় ২১ জুন মহারাষ্ট্রে উমেশ কোলে নামের এক ওষুধের দোকানের মালিকের মুণ্ডচ্ছেদ করা হয়েছে। ওই ঘটনাতেও এনআইএ-কে (NIA) তদন্তের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। উমেশের ছবি-সহ ওই টুইটে এও জানানো হয় যে, এই ঘটনায় চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হল আবদুল (২৪), শোয়েব খান (২২), মুদাস্সর আহমেদ শেখ ইব্রাহিম (২২) ও শাহরুখ পাঠান হিদায়েত খান (২৪)। পরে আরও এক দুষ্কৃতী গ্রেপ্তার হয়।