মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: দিন কয়েক আগেই কাশ্মীরে (Kashmir) এক লস্কর জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেছিল। এবার দুই জইশ সন্ত্রাসবাদীকে গ্রেপ্তার করল কাশ্মীর পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পাকিস্তানের হ্যান্ডলারদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল বলে খবর।
মঙ্গলবার বান্দিপোরার পুলিশ নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। সঙ্গে ছিল নিরাপত্তাবাহিনী। সেই অভিযানেই দুই যুবককে আটক করে পুলিশ। জেরা করে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, জইশ-ই-মহম্মদের (JeM) সদস্য ওই দুই যুবক। নাম আবদুল মাজিদ খান এবং সওকত আহমেদ মালিক।
[আরও পড়ুন : মোদির ‘আত্মনির্ভর’ মন্ত্রের জয়জয়কার! অক্সফোর্ডের বিচারে বছরের সেরা হিন্দি শব্দ এটাই]
জানা গিয়েছে, তাদের মগজধোলাই করে দলে টেনেছিল জইশের চাঁইরা। শুধু তাই নয়, নাশকতামূলক কার্যকলাপের জন্য তাদের হাতে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্রও তুলে দেওয়া হয়। এদিনের অভিযানে তাদের কাছ থেকে ১টি পিস্তল, ৩টি তাজা গ্রেনেড এবং ১০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়। দুই যুবককে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উল্লে্খ্য, ২৭ জানুয়ারি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কুলগাম (Kulgam) জেলায় জঙ্গি হামলায় শহিদ হন এক জওয়ান। আহত তিন। তাঁরা শ্রীনগরের সেনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভারতীয় সেনার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ওই জেলার শমশিপুরা অঞ্চলের জঙ্গি হানায় আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এরপরই পরপর তিনজনকে আটক করল বাহিনী। এই গ্রেপ্তারিকে কাশ্মীরে জঙ্গিদমন অভিযানে সাফল্য বলেই দেখছে তারা।