সুকুমার সরকার, ঢাকা: কক্সবাজারের রোহিঙ্গা (Rohingya)শিবিরে অগ্নিকাণ্ড ঘটনা ঘিরে বাংলাদেশের (Bangladesh) বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে অপপ্রচার। উখিয়ার শিবিরে আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘরের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। প্রায় ৫০০ টি রোহিঙ্গা পরিবার খোলা আকাশের নিচে কীভাবে দিন কাটাচ্ছে, সেই মর্মে ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে দেওয়া (Viral) হচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলে। কয়েকজন রোহিঙ্গা দুষ্কৃতীর এই কাজে কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি দারুণভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে ক্ষুব্ধ দেশের প্রশাসন।
গত রবিবার কক্সবাজারের (Cox’s Bazar)উখিয়ার ১৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লেগে পুড়ে গিয়েছে হাজারখানের ঘর। হতাহতের কোনও খবর নেই। কীভাবে আগুন লাগল, তার হদিশ এখনও মেলেনি। কিন্তু সঠিক কারণ জানার আগেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এ নিয়ে চলছে অপপ্রচার। পুড়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের শেডগুলো দ্রুত নির্মাণ করে দেওয়া-সহ সমস্যা লাঘবে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন। অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মহঃ শামছুদ্দৌজা জানান, এই শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ফের কক্সবাজারের শিবিরে আগুন, আতঙ্কে উখিয়া থেকে ভাসানচর গেলেন সাতশোর বেশি রোহিঙ্গা]
এদিকে আগুনে পুড়ে ছাই হওয়া শেড ও দুষ্কৃতীদের নিয়ে নানা কানাঘুষা চলছে। কেউ বলছে, আশ্রয় ক্যাম্পে আগুন লাগানোর পিছনে রোহিঙ্গাদেরই কারসাজি রয়েছে। কারও মতে, বাংলাদেশের কাছে আরও বেশি সাহায্য পাওয়ার আশায় ও স্থায়ী হতে নিজেদের ঘরে নিজেরাই আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তারা। এরপর ওই পুড়ে যাওয়া ঘরের ছবি ও ভিডিও তারা বাইরে পাঠাচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, প্রত্যাবাসন কার্যক্রম দীর্ঘায়িত করতে এবং প্রশাসনের লোকজনকে পোড়া শেডের পুনর্নির্মাণের কাজে ব্যস্ত রাখতে এই চালাকি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: Coronavirus: এক সপ্তাহে সংক্রমণ বৃদ্ধি ১১৫ শতাংশ! করোনার জোরাল কামড় বাংলাদেশে]
পুড়ে যাওয়া ঘরগুলিতে প্রায় ৩ থেকে ৪ কোটি টাকার সামগ্রী ছিল বলে হিসেব দিচ্ছে রোহিঙ্গারা। কিন্তু স্থানীয়দের পালটা প্রশ্ন, এক কাপড়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের শেডে এমন কী ছিল, যার মূল্য ৪ কোটি টাকা? এটি রহস্যজনক বলে দাবি করে নিরপেক্ষ তদন্তের গঠনে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে – তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং সমন্বয় করে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন আইওএম এর ন্যাশনাল কমিউনিকেশন অফিসার তারেক মাহমুদ।