সুকুমার সরকার, ঢাকা: নিজের মাকে খুনের পর দেহ পাঁচ টুকরো করার ঘটনায় গুণধর ছেলেকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ আদালতের। ছেলের পাশাপাশি ওই হত্যায় দোষী সাব্যস্ত সাতজন আসামীকে ফাঁসির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর। ওই দিন বাংলাদেশের নোয়াখালির সুবর্ণচরের জাহাজমারা গ্রামের একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার হয় নুর জাহানের (৫৮) নামে এক মহিলার মাথা ও দেহাংশ। খবর পেয়ে তা উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন একই খেত থেকে মহিলার দেহের আরও তিনটুকরো উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর নিহত মহিলার ছেলে হুমায়ুন কবির পুলিশের দ্বারস্থ হন। খুনের মামলা দায়ের করেন। তদন্তে নেমে মো. নীরব ও কসাই নুর ইসলাম নামের দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় পুলিশ। জানা যায়, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন মৃতার ছেলে।
[আরও পড়ুন: শেষের মুখে পাইপলাইন তৈরির কাজ, চলতি বছরই ভারত থেকে ডিজেল পৌঁছবে বাংলাদেশে]
জানা গিয়েছে, নিহত নুর জাহানের প্রথম পক্ষের ছেলে বেলাল হোসেন ঘটনার বছর খানেক আগে মারা যান। তার রেখে যাওয়া ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়ে দ্বিতীয় স্বামীর ছেলে হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে মায়ের বনিবনা হচ্ছিল না। এর জেরেই মাকে হত্যার পরিকল্পনা করে হুমায়ুন। আর সেই হত্যাকাণ্ডে বন্ধু, প্রতিবেশী ও স্বজন সহযোগিতা করে হুমায়ুন। পুলিশ জানিয়েছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী ৬ অক্টোবর রাতে ওই মহিলাকে প্রথমে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। পরে লাশ পাঁচ টুকরা করে প্রতিবেশী পাওনাদারদের ধানখেতে রেখে আসা হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মাংস কাটার ধারালো অস্ত্র, বঁটি, একটি কোদাল ও নারীর পরনে থাকা শাড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। এ মামলায় অভিযুক্ত পাঁচ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এছাড়া মোট ২৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেন বিচারক।