সুকুমার সরকার, ঢাকা: দুই সমকামী আন্দোলনকারীকে হত্যার মামলায় ছয় জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিল বাংলাদেশ। মঙ্গলবার এই রায় দেয় রাজধানী ঢাকার একটি বিশেষ সন্ত্রাসদমন আদালত।
[আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত কলকাতার থিয়েটার রোডের বাড়ি হস্তান্তরের অনুরোধ ঢাকার]
২০১৬ সালে রাজধনী ঢাকায় সমকামী আন্দোলনকারী জুলহাজ মান্নান (৩৫) ও মাহবুব রাব্বি তনয়কে কুপিয়ে খুন করে জঙ্গিরা। বাংলাদেশে আইন বিরুদ্ধ হলেও সমকামী ও রূপান্তরকামীদের জন্য একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করতেন জুলহাজ। ঘটনার দিন তাঁর বাড়িতেই ছিলেন অভিনেতা তনয়। সেখানেই তাঁদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই হামলায় রীতিমতো চঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দেশে। ওই ঘটনার দায় স্বীকার করে বাংলাদেশে আল কায়দার শাখা সংগঠন আনসার আল ইসলাম।
এদিন মামলার আট আসামির মধ্যে ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দিলেও দু’জনকে বেকসুর খালাস দেয় অ্যান্টি টেররিজম ট্রাইবুনাল। এদিকে দোষীদের মধ্যে একজন প্রাক্তন সেনাকর্মীও রয়েছে। সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবী নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন তারা। বলে রাখা ভাল, ২০১৫ সালে মুক্তমনা ব্লগার তথা মার্কিন নাগরিক অভিজিত রায়কে ঢাকায় কুপিয়ে খুন করে জঙ্গিরা। তারপর অনন্ত বিজয় দাস, নিলয় নীল-সহ বেশ কয়েকজন মুক্তমনাকে খুন করে অনসারুল্লা বাংলা টিম নামের একটি জেহাদি সংগঠন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে (Bangladesh) দ্রুত বাড়ছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির কার্যকলাপ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কড়া পদক্ষেপ সত্ত্বেও মাথাচাড়া দিচ্ছে জামাতের মতো মৌলবাদী সংগঠনগুলি। কয়েকদিন আগেই খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল-ইসলাম’-এর দুই জঙ্গিকে। সোনাডাঙা থানার ময়লাপোতা মসজিদ এলাকা থেকে নাসিম ও হাসান নামের দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিআইডি খুলনা মেট্রো অ্যান্ড জেলা ইউনিটের সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা নিজেদের আনসার আল-ইসলামের (Ansar Al-Islam) সামরিক শাখার সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছে। ধৃতরা বোমা ও আইইডি তৈরি বিশেষজ্ঞ। তারা অনলাইনে ও অফলাইনে খুলনা এলাকায় আনসার আল-ইসলামের জন্য সদস্য সংগ্রহ করার কাজ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।