shono
Advertisement

Breaking News

ছাই বেচে অমূল্য রতনের হদিশ, করোনা আবহে বিদেশি মুদ্রায় ভরল বাংলাদেশের কোষাগার

প্রতি টন ছাই ৫০০ থেকে ১০৭০ ডলারে রপ্তানি হচ্ছে। The post ছাই বেচে অমূল্য রতনের হদিশ, করোনা আবহে বিদেশি মুদ্রায় ভরল বাংলাদেশের কোষাগার appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 06:41 PM Jul 09, 2020Updated: 06:41 PM Jul 09, 2020

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ‘ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো’র প্রয়োজন পড়ছে না আর। ছাই এখন ফেলনা নয়। বরং বাংলাদেশের ছাইয়ের কদর বেড়েছে বিশ্বজুড়ে। করোনা আবহে ছাই রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রার মুখ দেখেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি আরও কয়েকটি সামগ্রীর রপ্তানি বেড়েছে দেশে। বাংলাদেশের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ইপিবির ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে আয়ের পরিসংখ্যানে এই তথ্য উঠে এসেছে।

Advertisement

নিতান্ত ফেলনা ছাইই এবার বাংলাদেশের জন্য একটা বড়সড় টার্নিং পয়েন্ট। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে রপ্তানি আয় হ্রাস পেয়েছিল সর্বত্র। বাংলাদেশের রপ্তানি তালিকার প্রথমেই রয়েছে রেডিমেড পোশাক এবং দ্বিতীয় বড় আয়ের উৎস চামড়া। করোনায় রপ্তানিতে বড় ধরনের ধস নামলেও প্রতিকূল সময়ে আয়ের মুখ দেখাচ্ছে ছাই। সঙ্গে রয়েছে আরও ছ’টি পণ্য – ওষুধ, পাট ও পাটজাত পণ্য, আসবাব, কার্পেট, চা ও সবজি। দেখা গিয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি হয়েছে ছাই রপ্তানিতে – ৬৪.৫৩ শতাংশ।

[আরও পড়ুন: পদ্মার চরে নববধূকে রাতভর লাগাতার ধর্ষণ, ধৃত ৪ যুবক]

এখানে পাটখড়ি থেকে উৎপাদিত একটি পণ্য ছাই, যা আসলে চারকোল বা অ্যাকটিভেটেড কার্বন। কারখানার বিশেষ চুল্লিতে পাটকাঠি পুড়িয়ে ছাই তৈরি করা হয়। তিন থেকে চারদিন পোড়ানোর পর চুল্লির ঢাকনা খুলে ছাই সংগ্রহ করে ঠান্ডা করা হয়। এছাড়া কাঠের গুঁড়া, নারকেলের ছোবড়া ও বাঁশ থেকেও ছাই বা চারকোল উৎপাদন হয়ে থাকে। তবে দেশে এখন পর্যন্ত পাটখড়ি থেকেই চারকোল উৎপাদিত হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে ২০০৯-১০ সালে এই পণ্য রপ্তানি শুরু হয়। এ সব ছাইয়ের মধ্যে গড়ে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্বন উপাদান হয়ে থাকে। টন প্রতি ৫০০ থেকে ১০৭০ ডলারে রপ্তানি হচ্ছে এই পণ্য। পাটখড়ির ছাইয়ে থাকা কার্বন পাউডার দিয়ে প্রসাধন সামগ্রী, ব্যাটারি, কার্বন পেপার, জলের ফিল্টারের উপাদান, দাঁত পরিষ্কার করার ওষুধ ও ফটোকপি মেশিনের কালি তৈরি করা হচ্ছে। করোনা জয় করা এই সাত পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১২৯ কোটি ৭৮ লক্ষ ডলার।

[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের কারাগারে ‘বঙ্গবন্ধু’র উপর অমানবিক নির্যাতন, স্মৃতি হাতড়ে কেঁদে ফেললেন হাসিনা]

বাংলাদেশ বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি রাশেদুল করিম মুন্না বলেন, ”পরিবেশবান্ধব পণ্যের বিশ্বব্যাপী চাহিদা বেড়েছে। পরিবেশবান্ধব আইন এবং অধিক হারে করারোপ করে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহারে নিরুৎসাহ করা হচ্ছে। ফলে পাটপণ্যের বহুমাত্রিক ব্যবহারে প্রসার ঘটছে। উপভোক্তারা ঘরে ও বাড়ির বাগানেও এর ব্যবহার বাড়াচ্ছে। এর সুবিধা দু’ বছর ধরেই পাচ্ছে বাংলাদেশ।” তিনি আরও বলেন, ”বিশেষ করে ইউরোপীয়রা প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে। প্রাকৃতিক পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। COVID-19’এর কারণে মানুষ ঘরে থাকছে, পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার বাড়াচ্ছে। পাটখাত ভালো জায়গায় নিতে হলে উচ্চমানের পণ্যের
রপ্তানি বাড়াতে হবে।”

এছাড়া চা এবং ওষুধ রপ্তানিতেও আয় বেড়েছে। বাংলাদেশ ওষুধ শিল্পসমিতির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান আবদুল মোকতাদির বলেন, ”বিশ্ব বাজারের চেয়ে COVID-19’এর সময় বাংলাদেশের মানুষ ওষুধের সংকট বোধ করেনি। এটা আমাদের জন্য বড় পাওনা।”

The post ছাই বেচে অমূল্য রতনের হদিশ, করোনা আবহে বিদেশি মুদ্রায় ভরল বাংলাদেশের কোষাগার appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement