সুকুমার সরকার, ঢাকা: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের (Rozina Islam) গ্রেপ্তারিকে কেন্দ্র করে উত্তাল বাংলাদেশ। প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশাসনকে। এহেন সময়ে বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মঞ্চে জবাবদিহি করতে হতে পারে দেশকে।
[আরও পড়ুন: করোনাযুদ্ধে ভারতকে আরও সাহায্য বাংলাদেশের, পেট্রাপোলে পৌঁছল চার ট্রাক ওষুধ, ইঞ্জেকশন]
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমি জানি, বিদেশমন্ত্রক হিসেবে আমাদের এটি ফেস করতে হবে। অনেকে প্রশ্ন করবে। আমরা এ ধরনের ঘটনা চাই না। যেহেতু এটি বিচারাধীন বিষয়, সে জন্য এনিয়ে বিস্তারিত কথা বলতে চাই না।” এদিন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর মোমেন আরও বলেন, “বিষয়টা খুবই দুঃখজনক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সংবাদ-বান্ধব সরকার। আমরা কখনওই আপনাদের নিষেধ করি না। আমাদের লুকানোর কিছু নেই। যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি খুব দুঃখজনক। সেটা স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ম্যানেজ করা উচিত ছিল। গুটিকতক লোকের জন্য এই বদনামটা হচ্ছে। এটি আমার বিষয় না। কিন্তু এটি অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক ঘটনা। আমি আশা করব, এই ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম ন্যায়বিচার পাবেন।”
উল্লেখ্য, তদন্তমূলক সাংবাদিকতার জন্য বাংলাদেশে জনপ্রিয় রোজিনা। অভিযোগ, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনার জন্য একাংশের রোষানলে পড়েছেন তিনি। রোজিনার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ আমলের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি সরানো ও অনুমতি না নিয়ে ছবি তোলার অভিযোগে মামলা করা হয় ঢাকার শাহবাগ থানায়। তারপর গ্রেপ্তারও করা হয় তাঁকে। বিষয়টি নিয়ে শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বের সাংবাদিক মহলে সমালোচনা করা হয়েছে। রোজিনার মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি আওয়ামি লিগ, বিএনপি-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই মামলার তদন্তভার বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে।