সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে কিছুতেই থামছে না সংখ্যালঘু নির্যাতন। ‘ধর্ম অবমাননা’র অভিযোগ তুলে হিন্দুদের উপর লাগাতার আক্রমণ শানাচ্ছে মৌলবাদীরা। গত শুক্রবার নড়াইল জেলায় হিন্দুদের কয়েকটি বাড়ি, দোকান ও মন্দিরে হামলার পর অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে মানবাধিকার কমিশন।
হিন্দু নিপীড়নের ঘটনায় এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের (Bangladesh) মানবাধিকার কমিশন বলেছে, “বাংলাদেশের মতো একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।” শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে দ্রুত তদন্ত চালিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে কমিশন। সূত্রের খবর, বংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার নেপথ্যে বিদেশি শক্তির হাত থাকতে পারে। বিশেষ করে, সক্রিয় পাকিস্তানের মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট হাতিয়ার করে তারা সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলা চালিয়ে হাসিনা সরকারকে বিপাকে ফেলতে চাইছে।
[আরও পড়ুন: ট্রাকের ধাক্কায় অন্তঃসত্ত্বার পেট ফেটে জন্মাল শিশুকন্যা, মা-বাবার মৃত্যু হলেও সুস্থ নবজাতক]
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় একটি ফেসবুক (Facebook) পোস্টকে কেন্দ্র করে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ওঠে। সেদিন নমাজের পর সেখানকার হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি বাড়ি, দোকান ও মন্দিরে হামলা চালায় উন্মত্ত মুসলিমরা। ঘটনার পর ওই এলাকার বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হামলাকে সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে একযোগে প্রতিবাদে নেমেছেন বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুরা (Hindu)।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা-নির্যাতন (Attack) নতুন নয়। জঙ্গি ও মৌলবাদীরা ছলছুতোয় হিন্দুদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এবার ঘটনাস্থল ফের নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায়। এর আগে একই অভিযোগ তুলে নড়াইলে একটি কলেজের অধ্যক্ষের গলায় জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানো হয়। যার জেরে বাংলাদেশ জুড়ে তীব্র ধিক্কার ও নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। এই কাণ্ডের জন্য ছাত্র-সহ একাধিক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সেই বিচারপ্রক্রিয়া কাজ চলছে। এর রেশ শেষ না হতেই ফের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছে।