shono
Advertisement

দুর্গাপুজোয় করোনার কাঁটা, শারদোৎসব পালনে ২৬ দফা নির্দেশিকা জারি বাংলাদেশে

নয়া নির্দেশিকা মতে, প্রতিমা বিসর্জনে শোভাযাত্রা করা যাবে না।
Published By: Monishankar ChoudhuryPosted: 02:40 PM Oct 10, 2018Updated: 02:40 PM Oct 10, 2018

সুকুমার সরকার, ঢাকা: এবার দুর্গাপুজোর আনন্দে কাঁটা করোনা ভাইরাস। লাগাতার বেড়ে চলা আক্রান্তের সংখ্যা ছায়া ফেলেছে শারদোৎসবে। তাই সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে দুর্গাপুজো নিয়ে ২৬ দফা নির্দেশিকা জারি করেছে বাংলাদেশে পুজো উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরাতে উত্তপ্ত রাখাইনে ‘সেফ জোন’ তৈরি দাবি বাংলাদেশের]

নয়া নির্দেশিকা মতে, প্রতিমা বিসর্জনে শোভাযাত্রা করা যাবে না। বুধবার পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চট্টোপাধ্যায় স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যসুরক্ষা বিধি মেনে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর মহালয়া ও ২২ অক্টোবর শারদীয় দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিমা তৈরি করে পূজা সমাপ্তি পর্যন্ত প্রতিটি মণ্ডপে নিজস্ব উদ্যোগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পূজা মন্দির/মণ্ডপে মহিলা ও পুরুষের জন্য যাতায়াত পৃথক ব্যবস্থা রাখতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে পালনের জন্য কার্ড/ব্যান্ডধারী অধিক সংখ্যক নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। থাকবে সন্দেহভাজন দর্শনার্থীদের দেহ তল্লাশির ব্যবস্থা। মহিলা স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে মহিলা দর্শনার্থীদের দেহ তল্লাশির ব্যবস্থাও করা হবে। নয়া নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, আতশবাজি ও পটকার ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। মন্দির/ মণ্ডপে সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় আর্থিক সঙ্গতি সাপেক্ষে সিসি ক্যামেরা সংযোগের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ভক্তিমূলক সংগীত ছাড়া অন্য কোনও সংগীত বাজানো যাবে না। উচ্চ শব্দের কারণে জনসাধারণের মধ্যে যাতে বিরক্তির উদ্রেক না হয় এজন্য মাইক/পিএ সেট ব্যবহার করা যাবে না। তবে পুজোর অংশ হিসেবে ঢাক-ঢোল-কাসা এ ধরনের বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার করা যাবে। কারও ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনও অবস্থাতেই জনসমাগমের কারণে সরকারের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি যাতে উপেক্ষিত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

বাংলাদেশে হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। চিন ও ভারতের সঙ্গে আবিষ্কৃত হলে দ্রুত টিকা আমদানির জন্য আলোচনা চালাচ্ছে ঢাকা। এহেন পরিস্থিতিতে দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে ভিড়ের দরুন যাতে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে না পরে সেদিকে নজর রাখছে প্রশাসন। এহেন কড়া বিধিনিষেধের ফলে স্বাভাবিকভাবেই এবছর ম্লান পুজোর আলো। করোনার কথা মাথায় রেখে এবার সন্ধ্যার পর দর্শনার্থী প্রবেশে রাশ টানতে বলা হয়েছে উদ্যোক্তাদের। সকল প্রকার আলোকসজ্জা, সাজসজ্জা, মেলার আয়োজন, আরতি প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদিও পরিহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্ভব হলে বাসাবাড়িতে থেকে যাতে ভক্তরা অঞ্জলি দিতে পারে সেজন্য ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে পুজো উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি। সব মিলিয়ে মহামারীর আবহে এবার দুর্গাপুজোর আনন্দ অনেকটাই স্তিমিত হয়ে গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ, বেইরুট বিস্ফোরণে বিপাকে বাংলাদেশি শ্রমিকরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement