সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা (Coronavirus) থেকে বাঁচতে টিকাকরণের কোনও বিকল্প নেই। সে কারণে জোরকদমে চলছে টিকাকরণ। ইতিমধ্যে ভারত একশো কোটির মাইলস্টোন ছুঁয়েছে। যদিও ভারতে এখনও শিশুদের টিকাকরণ শুরু হয়নি। তবে ঢাকায় সোমবার থেকে শুরু হল ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের টিকাকরণ কর্মসূচি।
এদিন সকাল সাড়ে নটা নাগাদ ঢাকার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। “সব শিশু টিকা নিবে, স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমে যাবে” কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। প্রথম টিকা নেয় ওই স্কুলেরই পড়ুয়া তাহসান হোসেন এবং মাহজাবিন তমা। দু’জনই নবম শ্রেণির পড়ুয়া। তারা পেয়েছে ফাইজারের টিকা। তাহসান হোসেনের বাবা ওই স্কুলেরই সহকারি শিক্ষক। তিনি বলেন, “দেশকে করোনামুক্ত করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষার্থীরা টিকা নিলে তবেই তারা নিরাপদে থাকবে।”
[আরও পড়ুন: চিকিৎসার বদলে মৌলবীর ঝাড়ফুঁক, কেরলে বাবা-মায়ের কুসংস্কারের বলি ১১ বছরের মেয়ে]
টিকা নেওয়ার পর বেশ কিছুক্ষণ স্কুলেই বিশ্রাম নেয় তাহসান হোসেন এবং মাহজাবিন তমা। শারীরিক কোনও সমস্যা হচ্ছে না বলেই জানিয়েছে তারা। তবে করোনা টিকা নিতে যে ভয় লেগেছিল তা স্বীকার করে নিয়েছে তাহসান এবং মাহজাবিন। তাহসান জানায়, “প্রথমে একটু ভয় লাগছিল। পরে যদিও ভয় কেটে যায়। প্রথমবার করোনার টিকা (Covid Vaccine) পেয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।” অন্যান্য সহপাঠীদের টিকা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে সে। মাহজাবিনের প্রতিক্রিয়াও প্রায় একইরকম। করোনার টিকা পাওয়ায় আনন্দিত বলেই সে জানিয়েছে।
ঢাকার মোট আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১২-১৭ বছর বয়সিদের টিকা দেওয়া হবে। মঙ্গলবার থেকে হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সাউথ পয়েন্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, চিটাগাং গ্রামার স্কুল, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কাকলী স্কুল, মিরপুর কমার্স কলেজ, স্কলাস্টিকা (মিরপুর) এবং সাউথ ব্রিজ স্কুলে টিকা দেওয়া হবে। ঢাকার বাইরে মোট ২২টি স্কুলে টিকাকরণের প্রস্তুতি চলছে। প্রতি স্কুলে ২৫টি করে বুথ থাকবে। প্রত্যেক বুথে দিনে ৪-৫ হাজার শিশুকে টিকা দেওয়া হবে বলেই লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে।