সুকুমার সরকার, ঢাকা: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে (War Torn Ukraine) আটকে পড়া বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের ২৮ জন নাবিক ফিরলেন ঢাকায়। বুধবার দুপুরে ঢাকায় পৌঁছন তাঁরা। রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্ট থেকে তুরস্ক এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে তাঁরা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছন। এছাড়া আরও ৯জন বাংলাদেশিকে বুধবার ইউক্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)।
বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। গত ২২ ফেব্রুয়ারি ওই জাহাজের ২৯ জন নাবিক ইউক্রেনের অলভিয়া বিমানবন্দরে পৌঁছন। ইউক্রেন থেকে সেরামিকের কাঁচামাল নিয়ে ইটালিতে যাওয়ার কথা ছিল জাহাজটির। তবে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার পর আর ফিরতে পারেনি জাহাজটি। ইতিমধ্যেই গত ২ মার্চ ইউক্রেনে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে রকেট হামলা হয়। তাতে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান প্রাণ হারান।
[আরও পড়ুন: বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণে বাধা দেওয়ার ‘শাস্তি’, চলতি অধিবেশনে নির্বাসিত ২ বিজেপি বিধায়ক]
পরদিন অর্থাৎ ৩ মার্চ অক্ষত অবস্থায় জাহাজ থেকে ২৮ জন নাবিককে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে তাঁদের বাঙ্কারে রাখা হয়। সেখান থেকে তাঁদের প্রথমে মলদোভা, পরে রোমানিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই নাবিকরাই বুধবার ইউক্রেন থেকে ঢাকায় ফেরেন। ওই নাবিকরা হলেন – জিএম নূর ই আলম, মহম্মদ মনসুরুল আমিন, সেলিম মিয়া, রামকৃষ্ণ বিশ্বাস, মহম্মদ রুকনুজ্জামান রাজীব, ফারিয়াতুল জান্নাত তুলি, ফয়সাল আহমেদ সেতু, মহম্মদ ওমর ফারুক, সৈয়দ আসিফুল ইসলাম, রবিউল আউয়াল, সলমন সারোয়ার সামি, ফারজানা ইসলাম মৌ, মহম্মদ শেখ সাদি, মহম্মদ মাসুদুর রহমান, মহম্মদ জামাল হোসাইন, মহম্মদ হানিফ, মহম্মদ আমিনুর ইসলাম, মহম্মদ মহিন উদ্দিন, হোসাইন মহম্মদ রাকিব, সাজজাদ ইবনে আলম, নাজমুল উদ্দিন, মহম্মদ নজরুল ইসলাম, সারোয়ার হোসাইন, মহম্মদ মাসুম বিল্লাহ, মহম্মদ হোসাইন, মহম্মদ আতিকুর রহমান, মহম্মদ শফিকুর রহমান এবং মহম্মদ সইফউদ্দিন। তবে হাদিসুর রহমানের দেহ এখনও ঢাকায় আনা সম্ভব হয়নি।
এদিকে, বুধবারও যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে মস্কো। এদিন রাশিয়ার চেরনিহিভ, সুমি, খারকভ, মারিওপোল এবং জাপরজাই – এই পাঁচ শহরে যুদ্ধবিরতির কথা জানানো হয়। ওই সময়ে মানবিক করিডর তৈরি করে যাতে সাধারণ মানুষ শহর ছাড়তে পারেন, তাই ওই বিরতি। যুদ্ধবিরতি চলাকালীন এদিন আরও ৯ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়। ‘অপারেশন গঙ্গা’র জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।