সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০০০ জন ভারতীয় পড়ুয়া দেশে ফিরলেন। পদ্মাপাড়ের শিক্ষর্থীদের সরকারি চাকরিতে কোটা বিরোধী আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে গোটা দেশে কারফিউ জারি করেছে শেখ হাসিনা সরকার। এই অবস্থায় বিপদ এড়াতে দলে দলে দেশে ফিরছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা। তাঁরা যাতে নিরাপদে দেশে ফিরতে পারেন, সেই জন্য গোটা প্রক্রিয়াটি দেখভাল করছে ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস। এদিকে রক্তঝরা আন্দোলনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১৫।
এদিন বিদেশ মন্ত্রক জানায়, সড়কপথে ৭৭৮ জন পড়ুয়া দেশে ফিরেছেন। অন্যদিকে বিমানে দেশে ফেরেন আরও ২০০ পড়ুয়া। অর্থাৎ সব মিলিয়ে দেশে ফিরে আসা পড়ুয়ার সংখ্যা দাঁড়াল ৯৭৮ জন। যদিও মন্ত্রক জানিয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পাঠরত ৪,০০০-এর বেশি ভারতীয় পড়ুয়া এখনও সে দেশে আটকে রয়েছেন। মন্ত্রকের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত চার হাজারেরও বেশি পড়ুয়ার সঙ্গে ঢাকার দূতাবাস এবং উপদূতাবাসগুলি যোগাযোগ রাখছে এবং তাঁদের প্রয়োজনীয় সাহায্যও করা হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: দেশের অর্থনীতির হাল কেমন! বাজেটের আগে আর্থিক সমীক্ষায় জানা যাবে ভাঁড়ারের হাল]
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার থেকে হিংসাত্মক রূপ নিয়েছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কোটা বিরোধী আন্দোলন। ১১৫ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয়েছে অসংখ্য মানুষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে পুড়ছে গোটা দেশ। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে, কারফিউ জারি করে, সেনা নামিয়ে পরিস্থিতি শোধরানোর চেষ্টা করছে হাসিনা সরকার। শাসক শিবিরের অভিযোগ, ছাত্রদের এই আন্দোলনের আড়ালে ষড়যন্ত্র শামিল বিএনপি ও জামাতের মতো মৌলবাদী বিরোধী গোষ্ঠী। তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতেও রাজি হয়েছে সরকার। এছাড়াও সে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের দিকেও তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ-সহ গোটা বিশ্ব।