সুকুমার সরকার, ঢাকা: আমেরিকার গণতন্ত্র সম্মেলনে যোগ দিতে নারাজ বাংলাদেশ (Bangladesh)। আর ঢাকার এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছে রাশিয়া। ফলে ঢাকা ও মস্কোর সম্পর্ক আরও একধাপ এগিয়ে গেল বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে জেহাদের ছায়া, ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার আনসার আল ইসলামের ৩ জঙ্গি]
রবিবার বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, রুশ দূতাবাস তাদের বার্তায় ৯-১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার বাংলাদেশের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক এগিয়ে নিতে রাশিয়া সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবে বলেও বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া ও চিনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে যথাসাধ্য পদক্ষেপ করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। তাই আমেরিকার গণতন্ত্র সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা।
উল্লেখ্য, গণতন্ত্র রক্ষা নিয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করছে আমেরিকা (America)। ডিসেম্বরের ‘সামিট ফর ডেমোক্রেসি’তে আমন্ত্রিত হয়েছে ভারতও। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, আমন্ত্রিতের তালিকায় নেই চিন এবং রাশিয়ার নাম। অথচ গণতন্ত্রের আলোচনা সভায় আমেরিকা আমন্ত্রণ জানিয়েছে তাইওয়ানকে। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, বরাবর তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে আসছে চিন। এই বিষয়ে ‘রেডিও ফ্রি এশিয়া’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিনা বিদেশমন্ত্রকের ঝাও লিজিয়ান বলেন, “তথাকথিত গণতন্ত্র সম্মেলনে তাইওয়ানের আমন্ত্রণের বিষয়এ আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা আমেরিকার কাছে আবেদন জানাচ্ছি তারা যেন তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী শক্তিগুলিকে মঞ্চ না দেয়।”
বলে রাখা ভাল, বিশ্বে গণতন্ত্রকে কীভাবে মজবুত করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হবে সভায়। মূলত তিনটি বিষয়ে আলোচনা হতে চলেছে। এক- একনায়কতন্ত্রের বিরোধিতা, দুই-দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, তিন-মানবাধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া। কিন্তু এমন এক আলোচনাসভায় চিন, রাশিয়ার মতো রাষ্ট্রের অনুপস্থিতি বিতর্ক বাড়িয়েছে। আমন্ত্রিতদের তালিকায় নেই মায়ানমার, আফগানিস্তানও। কিছুদিন আগেই গণতন্ত্রকে পদদলিত করে মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান হয়। এদিকে আফগানিস্তানও তালিবানের দখলে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমন্ত্রিতদের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে তুরস্ক, সৌদি আরব, আরব আমিরশাহী।