সুকুমার সরকার, ঢাকা: ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপি’র যুব সংগঠন ‘যুবদল’র বিক্ষোভ মিছিল শেষে একটি গাড়ি ভাংচুর করে আগুন দেওয়ার পর আরও চারটি বাসে অগ্নি সংযোগ করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের বিপরীত পার্শ্বে আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের সামনে এ ঘটনা।
[আরও পড়ুন: সৃজনশীলতার চর্চাই নেই, করোনা কালে নতুন পদ্ধতিতে প্রশ্ন তৈরিতে সমস্যায় বাংলাদেশের শিক্ষকরা]
উপনির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে যুবদল নেতা গোলাম মাওলা শাহিন ও খন্দকার এনামুল হকের নেতৃত্বে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এদিন দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটের মধ্যে মতিঝিল, শাহবাগ প্রেস ক্লাব সংলগ্ন সচিবালয় মোড়, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে শাসকদল আওয়ামি লিগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ও শাহবাগ এলাকায় বাসে আগুন দেওয়া হয়। এদিকে ঢাকা-১৮ আসনে ভোটকেন্দ্রে ১৭টি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। এতে ভোটারা আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি করার সময় পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন কয়েকজন। এ ঘটনায় পুলিশ দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে। আব্দুল্লাহপুর মালেকা বানু আদর্শ বিদ্যানিকেতন স্কুলের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। পরে অবিস্ফোরিত কিছু ককটেল জলে ভিজিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়।
ঘটনার পরপর মালেকা বানু আদর্শ বিদ্যানিকেতন স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন শাসকদল আওয়ামি লিগের প্রার্থী হাবীব হাসান। তিনি বলেন, “আমার প্রতিপক্ষ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভোটারদের ভয় দেখিয়ে ভোট দিতে বিরত রাখতে চান। কারণ তারা জানেন যে মানুষ নৌকায় ভোট দেবে, বিএনপি’র ধানের শীষে নয়।সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। তবে আমরা ধারণা করছি, পাশের ভবন থেকে ককটেলগুলি ছোঁড়া হয়েছে।”