সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারির ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। তবে সংখ্যালঘু নিয়ে ইউনুস সরকারের মানসিকতায় কোনও বদল আসেনি। এবার অন্যায় ভাবে বাংলাদেশ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেন ইসকনের আর এক সন্ন্যাসী শ্যাম দাস প্রভু। জেলবন্দি চিন্ময় প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন শ্যাম প্রভু। সেখানেই কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। এই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছেন ইসকন কলকাতার মুখপাত্র রাধারমণ দাস।
ইউনুস সরকারের শাসনে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর লাগাতার নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছিলেন সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভু। মৌলবাদের বিরুদ্ধে তাঁর আন্দোলনের জেরে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গত সোমবার গ্রেপ্তার করে তাঁকে। এর পর ২৬ তারিখ তাঁকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হলে সেখানে পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের আকার নেয়। প্রিজন ভ্যান আটকে চলতে থাকে বিক্ষোভ। হিন্দুদের বিক্ষোভ থামাতে লাঠিচার্জের পাশাপাশি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। উত্তাল এই পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয় চট্টগ্রামের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সাইফুল ইসলামের। এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে হিন্দুদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
চিন্ময়কে জেলে খাবার পৌঁছে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফে। সেজন্য একটি পারমিটও ইস্যু করা হয়। তবে সেখানেও আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে চলতে থাকে দমন-পীড়ন। অভিযোগ, শুক্রবার তাঁকে খাবার দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন তাঁর দুই সঙ্গী। জানা গিয়েছে, চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইসকনের আর এক সন্ন্যাসী স্বরূপ দাসকে। এবার জানা গেল চিন্ময় প্রভুর সঙ্গে জেলে সাক্ষাত করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন শ্যাম দাস প্রভু। শুধু তাই নয়, সইফুল হত্যার ঘটনাতেও হিন্দুদের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নেমেছে ইউনুস সরকারের পুলিশ। এই ঘটনায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন সইফুলের বাবা। তার মধ্য থেকে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাঁরা সকলেই হিন্দু।
অন্যদিকে আদালত প্রাঙ্গণে অশান্তির ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে থানায়। এসব মামলায় ৭৭ জনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাতপরিচয় ১ হাজার ৩০০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৮ জনকে।