সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৬ ঘণ্টা পরেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি ঢাকার অদূরে রূপগঞ্জ উপজেলার গাজী গ্রুপের টায়ার কারখানার আগুন! রবিবার রাত ৯টার দিকে অগ্নিকাণ্ড ঘটে সেখানে। অভিযোগ, কয়েকজন দুষ্কৃতী লুটপাটের পর আওয়ামি লিগের প্রাক্তন মন্ত্রীর এই কারখানাটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। যদিও এই ঘটনায় জড়িতদের কাউকে এখনও পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি। এদিকে, আগুন নেভাতে দমকল বিভাগের ১২টি ইউনিট রাত থেকে কাজ করলেও এখনও পর্যন্ত তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
জানা গিয়েছে, কারখানাটি আওয়ামি লিগের প্রাক্তন মন্ত্রী ও সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজীর। রবিবার ভোরে রাজধানী ঢাকার শান্তিনগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, বিকেলে দুষ্কৃতীরা দস্তগীরের মালিকানাধীন টায়ার প্রস্তুতকারী কারখানাটিতে হামলা চালায়। লুটপাট করে আগুন লাগিয়ে দেয়। খবর কারখানায় আসে দমকল বাহিনী। শুরু আগুন নেভানোর কাজ। কিন্তু প্রায় ১৬ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও পুরোপুরী নিয়ন্ত্রণে আসেনি লেলিহান শিখা। দমকলের কর্মীরা জানিয়েছেন কারখানাটিতে প্রচুর প্ল্যাস্টিক জাতীয় কাঁচামাল ও দাহ্য বস্তু থাকায় আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: নিয়োগ করেছিলেন হাসিনা, মেয়াদ শেষের আগেই ভারতীয় দূতাবাস থেকে ছাঁটাই বাংলাদেশের কর্মীরা]
এই ঘটনা নিয়ে কারখানার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম জানান, "এদিন বিকেলে দুদলে কয়েকশো লোক রূপসীর কারখানায় ঢুকে পড়ে ৷ লুটপাটের পর রাত নয়টার দিকে কারখানার একাধিক ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয়। ৷ ছয়তলা একটি ভবনের নিচে যখন আগুন লাগানো হয় তখন লুটপাটকারীদের কয়েকজন ভবনটির উপরে ছিলেন।" কয়েকজন দাবি করছেন, ভবনে কিছু লোক আটকে ছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।
এদিকে, হামলার ঘটনার পর পুলিশের কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন সাইফুল ইসলাম। তাঁর দাবি, "লুটপাট শুরুর পর থানা-সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন জায়গায় জানানো হয়েছিল। পুলিশ আসেনি। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল কারখানার গেটের সামনে আসে। কিন্তু ১০ মিনিটের বেশি তাঁরাও দাঁড়াননি। রাতে আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আসে।" প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর থেকে গ্রেপ্তার হচ্ছেন আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীরা। দুর্নীতি, খুন-সহ একাধিক মামলা দায়ের হচ্ছে হাসিনা ও তাঁর দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে।