সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঢাকায় বাংলাদেশ (Bangladesh) সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ছয় ঘণ্টার পর নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক দমকলকর্মীর। আহত ২। কী থেকে আগুন লেগেছে তা জানতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ইতিমধ্যে এই অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিয়ে নানা জল্পনা দানা বাঁধছে। অনেকেই সন্দেহ করছেন যে গুরুত্বপূর্ণ গোপন নথি লোপাট করতে আগুন লাগানো হয়েছে। আবার নাশকতার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর, বুধবার রাত ১টা ৫২ মিনিট নাগাদ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ১টা ৫৪ মিনিটে সেখানে পৌঁছয় দমকলবাহিনী ও পুলিশ। প্রথমে ৮টি ইঞ্জিন দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। কিন্তু আগুন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। পরিস্থিতি বুঝে বাড়ানো হয় ইঞ্জিনের সংখ্যা। সব মিলিয়ে ১৯টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় ছয় ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগাদ নিয়ন্ত্রণে আসে লেলিহান শিখা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল। তিনি বলেন, ‘‘আগুন নেভাতে গিয়ে এক দমকলকর্মী নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম সোহানুজ্জামান নয়ন।” এরপর সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখতে সকাল ৯টা নাগাদ সচিবালয়ের সামনে আসেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, বাংলাদেশ সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির সদস্য ৫ থেকে ১১ জন হতে পারে। এই অগ্নিকাণ্ডে নাশকতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তদন্তের পরই এনিয়ে বিস্তারিতভাবে সব কিছু বলা যাবে। জানা গিয়েছে, আগুন নেভার পর সচিবালয়ের একটি গেট খুলে দেওয়া হয়। বাইরে অপেক্ষারত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ভিতরে ঢোকেন। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে সচিবালয়ের নিরাপত্তা নিয়ে।