সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চট্টগ্রাম আদালতে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর সংঘর্ষে মৃত্যু হয় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের। ওই 'হত্যাকাণ্ডে'র ঘটনায় আইনজীবীদের নিয়ে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটি থেকে সরে দাঁড়ালেন সকল সদস্যই। প্রশ্ন উঠছে, চিন্ময়ের জামিন রুখতে কি নয়া কৌশল নেওয়া হল? কমিটি গঠনের এত দিন পরে পদত্যাগ কেন?
ঘটনার প্রায় পৌনে দু-মাস পরে তদন্ত কমিটির সদস্যদের মনে হয়েছে, সাইফুল মৃত্যুর জেরে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। এখন আইনজীবীরাই যদিও সেই হত্যার তদন্ত করেন, তবে তদন্ত কমিটির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। জানা গিয়েছে, গত বুধবার ইস্তফাপত্র জমা দেন তদন্ত কমিটির প্রধান আবদুস সাত্তার। তার দুই দিন আগে বাকি চার সদস্যও ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। যদিও শনিবার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। তদন্ত কমিটির প্রধান সাত্তার এবং চার সদস্য আইনজীবী সমিতির নেতাদের কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের সুপারিশ করেছেন।
সাত্তারের বক্তব্য, "আদালত চত্বরে আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিষয়টি স্পর্শকাতর। পুলিশ, প্রশাসন, আদালতের কর্তাদের জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘটনায় ছয়টি মামলাও হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করছে। আইনজীবীরা এই ঘটনার তদন্ত করলে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।" সেই কারণেই বিচারকের নেতৃত্বাধীন তদন্তকমিটি গঠন করা উচিত বলে দাবি সাত্তারের। যদিও কমিটি গঠনের সোয়া মাস পর তিনি সরতে চাইছেন কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল। তাছাড়া ১৫ নভেম্বরের মধ্যে তাদের রিপোর্ট পেশ করার কথাও ছিল। আগামী ২ জানুয়ারি চিন্ময় কৃষ্ণের জামিন শুনানির দিন। তার আগে তদন্ত কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন করে অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা?