নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। মঙ্গলবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছে। এর আগে বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শোকবার্তায় তিনি জানান, ‘বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণের খবরে গভীরভাবে মর্মাহত হয়েছি। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, ভোটমুখী বাংলাদেশে জয়শংকরের যাত্রাকে কূটনৈতিক ভাবেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সাম্প্রতিক বাংলাদেশে যেভাবে হিন্দুহত্যা তথা সংখ্যালঘু নির্যাতন চলছে জামাতের নেতৃত্বে, এর পিছনে যে পাকিস্তান ও চিনের উসকানি রয়েছে তা বুঝতে সময় লাগেনি সাউথ ব্লকের। তৈরি হয়েছে 'ইনকিলাব মঞ্চ'-র মতো ভারতবিরোধী সংগঠনও। আর তাই আপাতত সাবধানী হয়েও বিএনপির দিকেই সামান্য ঝুঁকে থাকছে নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে জয়ংশকরের বাংলাদেশ সফরকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান দেশে ফিরেছেন গত সপ্তাহে। মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''ভারত বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে। এবং এই ঘটনাটিকে (তারেকের প্রত্যাবর্তন) সেই প্রেক্ষাপটেই দেখা উচিত।” নিশ্চিত ভাবেই এক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান ‘সাবধানী’। প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতি আপাতত নজরে রেখেই পুরো বিষয়টিকে মাথায় রাখতে চাইছে ভারত। এদিনের মন্তব্য সেটাই স্পষ্ট করে দিয়েছে। তবুও খালেদা জিয়ার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ভারতের যোগদান যে ঘুরিয়ে জামাতকে বার্তা, তাতে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরও কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিও 'জানাজা'য় যোগ দিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। ভুটানের বিদেশমন্ত্রী এবং মালদ্বীপের একজন মন্ত্রীর ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। পাশাপাশি 'বন্ধু' পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী ইশাক দারও থাকবেন সেখানে।
