shono
Advertisement
Khaleda Zia

পর্দার আড়ালেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের 'মা', শাকিবদের সঙ্গে কীভাবে জড়িয়ে ছিলেন খালেদা?

মুশফিকুর রহিম, শাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালদের উত্থানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন খালেদা।
Published By: Anwesha AdhikaryPosted: 09:34 AM Dec 30, 2025Updated: 09:34 AM Dec 30, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৮০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন খালেদা জিয়া। বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁর কার্যকাল, দেশের উন্নতি বা অবনতিতে তাঁর কতখানি অবদান-সেসব নিয়ে রাজনৈতিক কচকচানি লেগেই থাকবে। কিন্তু খালেদার প্রয়াণের পর ক্রিকেটমহলের অনেকেরই মনে পড়ছে, কীভাবে খালেদার আদর্শে বেড়ে ওঠা এক ব্যক্তির হাত ধরেই এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট।

Advertisement

খালেদা জিয়ার দুই সন্তান। বড় ছেলে তারেক রহমানকেই রাজনৈতিক উত্তরসূরি হিসাবে চেনে বাংলাদেশের আমজনতা। তাঁকে আগামীদিনে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবেও দেখছে বিএনপি। কিন্তু তারেককে ঘিরে প্রচারের আলোয় ঢাকা পড়ে যান খালেদার কনিষ্ঠ পুত্র-আরাফাত রহমান কোকো। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হয়েও রাজনীতি থেকে শতহস্ত দূরে থাকা কোকোর হাত ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতি শুরু হয়। বলা যেতে পারে পদ্মাপাড়ের ক্রিকেটসংস্কৃতির খোলনলচে বদলে দেন খ্যাতির আড়ালে থাকা কোকো।

ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাবের চেয়ারম্যান হিসাবে ক্রিকেট প্রশাসনের কাজ শুরু করেন খালেদার কনিষ্ঠ পুত্র। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মানোন্নয়নে ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাব অগ্রণী ভূমিকা নেয়। বোলিং মেশিন আনা থেকে শুরু করে অন্যান্য আধুনিক সুযোগসুবিধা ক্রিকেটারদের কাছে পৌঁছে দেন কোকো। এই ক্লাব থেকেই উঠে এসেছেন তামিম ইকবালের মতো বিখ্যাত ক্রিকেটারও। খালেদা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীনই বাংলাদেশ বোর্ডের ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন কোকো। দায়িত্ব নিয়েই বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট শুরু করেন। ওই টুর্নামেন্টের ফসল মুশফিকুর রহিম, শাকিব আল হাসানরা, যাঁদের হাত ধরে এশিয়ার অন্যতম সেরা ক্রিকেট দল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ।

খালেদা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলাদেশের আয়োজিত হয় ২০০৪ সালের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ। সেই টুর্নামেন্ট আয়োজনের পুরোভাগে ছিলেন কোকো। মিরপুরের শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামকে বিশ্বমানের ক্রিকেট মাঠ হিসাবে গড়ে তোলা, আইপিএলের ধাঁচে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের পরিকল্পনা করা, ২০১১ বিশ্বকাপ আয়োজনের নীল নকশা তৈরি-বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নতিতে সমস্ত কিছুই করেছেন কোকো। তবে কোকোর শেষ জীবনটা কেটেছে জেলের অন্ধকারে আর হাসপাতালের বিছানায়। ২০১৫ সালে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে যান কোকো।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • খালেদা জিয়ার দুই সন্তান। বড় ছেলে তারেক রহমানকেই রাজনৈতিক উত্তরসূরি হিসাবে চেনে বাংলাদেশের আমজনতা।
  • ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাবের চেয়ারম্যান হিসাবে ক্রিকেট প্রশাসনের কাজ শুরু করেন খালেদার কনিষ্ঠ পুত্র। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের মানোন্নয়নে ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাব অগ্রণী ভূমিকা নেয়।
  • খালেদা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলাদেশের আয়োজিত হয় ২০০৪ সালের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ। সেই টুর্নামেন্ট আয়োজনের পুরোভাগে ছিলেন কোকো।
Advertisement