সুকুমার সরকার, ঢাকা: জানালার ধারে দাঁড়ানো কিংবা বসা নিয়ে ঝামেলা আকছার হয়। ট্রেনে-বাসে এই ছবি খুবই সাধারণ। বিশেষ করে 'অফিস টাইমে'র মতো ব্যস্ত সময়। কিন্তু সামান্য জানলার ধারে দাঁড়ানো নিয়েই বচসা। যা গড়ায় হাতাহাতিতে। আর তাতেই প্রাণ গেল এক ব্যক্তির! মর্মান্তিক এই ঘটনা বাংলাদেশের।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি বৃহস্পতিবার ঘটে ঢাকার অদূরে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে। মৃত ওই ব্যক্তির নাম ঝুমুর কান্তি বাউল (৪২)। তিনি নরসিংদী সদরের বীরপুর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। এই ঘটনা প্রসঙ্গে যাত্রীরা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত যাওয়া ঢাকা মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনটি নরসিংদী স্টেশনে পৌঁছয়। সেখান থেকে পর ঝুমুর কান্তি বাউল ট্রেনের শেষ বগিতে উঠে জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ান। ওই জানালার পাশে সিটে বসা মনজুর মিয়া নামে আরেক ব্যক্তি তাতে ঘোর আপত্তি জানান।
[আরও পড়ুন: মোদির শপথে যোগ দিতে দিল্লিতে হাসিনা, বৈঠক ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে]
এই নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। যা পরে বড় আকার নেয়। এমনকি হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এর পরে মনজুর মিয়া লাথি, ঘুষি মারতে শুরে করেন ঝুমুর কান্তি বাউলকে। মারের চোটে সঙ্গে সঙ্গেই তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে বগির অন্য যাত্রীরা ঝুমুর কান্তি বাউলকে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে নামিয়ে দেন। এর পর স্টেশন কর্তৃপক্ষ অজ্ঞান ঝুমুর কান্তিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে অভিযুক্ত মন্জুর মিয়াকে ঢাকার কমলাপুর থেকে আটক করে রেলওয়ে পুলিশ। বায়েজিদ রাব্বি নামে ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, "তুচ্ছ একটা বিষয় নিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই কাণ্ডটি ঘটে যায়। ঝুমুর কান্তি এই ট্রেনে নিয়মিত নরসিংদী থেকে ঢাকা যাতায়াত করতেন।" ঘটনার পর পুলিশ নিহতের দেহ বাড়িতে পৌঁছে দেয়।